আর জি কর কাণ্ড নিয়ে গোটা রাজ্য তোলপাড়। এরই মাঝে এক নাবালিকাকে ঘরে আটকে রেখে লাগাতার ধর্ষণের অভিযোগ উঠল এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে, বিভিন্ন মিডিয়া সূত্রে এমন জানা যাচ্ছে। ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়া জেলার সোনামুখী ব্লকে। নির্যাতিতা ওই কিশোরী দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রী বলে জানা গেছে। ঘটনা নিয়ে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
জানা গেছে, বাঁকুড়া জেলার সোনামুখী ব্লকের তৃণমূল নেতা সত্যনারায়ণ মিশ্র পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য পদ এবং কর্মাধ্যক্ষের পদে রয়েছেন। নির্যাতিতার বাবা ওই তৃণমূল নেতার গাড়ির চালক ছিলেন। সে সুবাদে নির্যাতিতা তৃণমূল নেতাকে দাদু বলে ডাকতেন।
আরও জানা যায়, সত্যনারায়ণ মিশ্র ওই কিশোরীকে সাতদিন ঘরে আটকে রেখে লাগাতার যৌন নির্যাতন করেছেন। মেয়েটি তাঁর পরিবারকে সেই কথা জানালে, পরিবারের লোকজন সোনামুখী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে ওই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে।
অভিযোগ দায়েরের পরেই ওই নেতাকে গ্রেফতার করেছে সোনামুখী থানার পুলিশ। ঘটনা জানাজানি হতেই তৃণমূল নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। পাশাপাশি, তাঁর পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য পদ এবং কর্মাধ্যক্ষের পদ যাতে খারিজ করা হয় তার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে জানানো হয়েছে জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে।
উল্লেখ্য, গত ৯ আগষ্ট আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের চার তলার সেমিনার হল থেকে উদ্ধার হয় এক মহিলা চিকিৎসকের ক্ষত-বিক্ষত দেহ। এই ঘটনায় উত্তাল গোটা রাজ্য-দেশ। বিচার চেয়ে গত একমাস ধরে রাস্তায় আন্দোলন করছেন রাজ্যের সরকারি এবং মেডিক্যাল কলেজের জুনিয়র চিকিৎসকরা। পথে নেমেছেন আম জনতা। বর্তমানে মামলাটি সুপ্রিম কোর্টের বিচারাধীনে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন