ফের আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকদের নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করে বিতর্কে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। বিধায়কের হুঁশিয়ারি, ‘‘ওদের যেমন আন্দোলন করার অধিকার আছে, বাংলায় তৃণমূলেরও ৩ কোটি ভোটার আছে। ১০ হাজার মাঠে নামলে কী হবে, তখন বুঝবে।“ এছাড়া এই আন্দোলনকে ‘চ্যাংড়ামো’ বলেও অভিহিত করেন বিধায়ক।
শুক্রবার হুমায়ুন বলেন, ‘‘ডাক্তারদের দ্বিতীয় ভগবান বলা হয়। সেই ভগবানের আচরণ কী? সিগারেট নিয়ে নাচানাচি করছেন, ঢাক-ঢোল বাজাচ্ছেন। এ সব কি আন্দোলনের নামে চ্যাংড়ামো নয়?’’ জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলনের আর্থিক সহযোগিতার উৎস নিয়েও প্রশ্ন তোলেন হুমায়ন। তৃণমূল বিধায়কের দাবি, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজ্য সরকারকে কালিমালিপ্ত করতে বিরোধী দলগুলি একত্রিত হয়ে নোংরা ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। এই ষড়যন্ত্রের অংশীদার জুনিয়র চিকিৎসকেরা। যাঁরা আন্দোলনের নামে অসভ্যতা শুরু করেছেন।’’
এরপরেই হুঁশিয়ারি দিয়ে হুমায়ুন বলেন, ‘‘সংখ্যায় যদি বিচার করেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা তা হলে দেখতে পাবেন, ওঁরা সারা রাজ্যে মাত্র সাড়ে সাত হাজার। সব চিকিৎসক মিলিয়ে সর্ব মোট মাত্র চুরানব্বই হাজার। আমরা তিন কোটি তৃণমূল কর্মী। রাজনৈতিক দল ও জনপ্রতিনিধি হিসাবে আমাদের একটা দায়িত্ব আছে। প্রয়োজনে রাস্তায় নেমে বিরোধিতা করব। মেডিক্যাল কলেজ, হাসপাতাল ঘেরাও করব। তাতে আমার যা হওয়ার হোক।’’
এর আগেও জুনিয়র চিকিৎসকদের নিয়ে মন্তব্য করায় বিতর্কে জড়ান তৃণমূল বিধায়ক। যা নিয়ে চিকিৎসক সংগঠনের তরফে মুর্শিদাবাদের জেলাশাসক, পুলিশ সুপার এবং মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে লিখিত অভিযোগও দায়ের করা হয়। তারপরেও নিজের অবস্থান থেকে সরছেন না বলে জানান তিনি। হুমায়ুন বলেছিলেন, “আমি যে কথা বলেছিলাম, আমি তাতেই আছি। আমার বক্তব্য একই থাকছে।’’ বিধায়ক আরও বলেন, “আন্দোলন করতে হলে সরকারি জায়গা থেকে বেরিয়ে গিয়ে আন্দোলন করুক। সরকারের খাব, এসিতে ঘুমোব আর সরকারকে বিড়ম্বনায় ফেলব, এ জিনিস আমি মানতে পারছি না।’’
হুমায়ুনকে নিয়ে মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূলের সভাপতি অপূর্ব সরকারের বক্তব্য, ‘‘হুমায়ুন কী বলেছেন, আমি জানি না। দলের অবস্থান ইতিমধ্যেই শীর্ষ নেতৃত্ব স্পষ্ট করেছেন। ব্যক্তিগত ভাবে কেউ কিছু বলে থাকলে তার দায় দল নেবে না।’’
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন