সুপ্রিম কোর্টে জামিনে মুক্তি পেলেন বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। ২০২৩ সালের ১৭ এপ্রিল শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করে সিবিআই। তারপর থেকে জেল বন্দি ছিলেন তিনি।
২০২৩ সালের ১৭ এপ্রিল গ্রেফতার হওয়ার পর জামিনের আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন জীবনকৃষ্ণ সাহা। সেখানে তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে যায়। এরপর শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন তৃণমূল বিধায়ক। একাধিক বার জামিনের আবেদনের শুনানি পিছিয়ে যায়। অবশেষে মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট জামিন দেয় তাঁকে।
বড়ঞার বিধায়কের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত মিডিলম্যান প্রসন্ন রায়কে সহয়তা করতেন। প্রসন্ন রায়ও জামিনে মুক্তি পেয়েছিলেন। এদিন শুনানি চলাকালীন সুপ্রিম কোর্টে সেই কথা উল্লেখ করেন জীবনকৃষ্ণের আইনজীবী।
তৃণমূল বিধায়কের আইনজীবীরা আরও জানায়, এই মামলায় চার্জশিটে থাকা ২৩ জনের মধ্যে ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এদের মধ্যে ৩ জন ইতিমধ্যেই জামিনে মুক্তি পেয়েছে। যদিও সিবিআইয়ের আইনজীবী জীবনকৃষ্ণের জামিনের বিরোধিতা করেন। জীবনকৃষ্ণের হয়ে শীর্ষ আদালতে সওয়াল করেন আইনজীবী মুকুল রোহতগি, রউফ রহিম এবং অনির্বাণ গুহঠাকুরতা।
মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এএস বোপান্না এবং বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের এজলাসে এই মামলার শুনানি হয়। দুই পক্ষের সওয়াল শোনার পর জীবনকৃষ্ণের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করে ডিভিশন বেঞ্চ।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ১৪ এপ্রিল শিক্ষক নিয়োগ দূর্নীতি মামলায় জীবনকৃষ্ণের আন্দির বাড়িতে টানা তল্লাশি চালায় সিবিআই। একই সঙ্গে জীবনকৃষ্ণকে জিজ্ঞাসাবাদও করে। অভিযোগ ওঠে, জিজ্ঞাসাদাবাদ চলাকালীন বাড়ির পুকুরে নিজের দু’টি মোবাইল ফোন ছুঁড়ে ফেলেন তিনি। টানা জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব শেষে অবশেষে ১৭ এপ্রিল মাঝরাতে তাঁকে হেফাজতে নেয় সিবিআই।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন