এক মাসও কাটেনি, ফের উত্তরপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিকের নামে নিখোঁজ পোস্টার পড়লো। তবে, গতবার পোস্টারকীর্তির পিছনে কাদের হাত রয়েছে তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরী হলেও, এবার নিখোঁজ পোস্টারের নীচে স্পষ্টভাবেই লেখা রয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টির নাম।
বুধবার ডানকুনির রঘুনাথপুর এলাকায় কাঞ্চন মল্লিকের নামে একাধিক নিখোঁজ পোস্টার পড়ে। পোস্টারে লেখা রয়েছে - 'রঘুনাথপুরের এলাকাবাসী বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিককে খুঁজে পাচ্ছেন না। সন্ধান দিতে পারলে এলাকাবাসী কৃতজ্ঞ থাকবে।' তৃণমূল বিধায়কের নামে নিখোঁজ পোস্টার পড়ায় ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক বিতর্ক তুঙ্গে।
গত মাসে উত্তরপাড়ার কোতরং এলাকায় কাঞ্চনের নামে নিখোঁজ পোস্টার পড়েছিল। সেবার সোশ্যাল মিডিয়ায় পাল্টা সরব হয়েছিলেন তৃণমূল বিধায়ক। নিজের হাতে চিমটি কেটে তৃণমূল বিধায়ক জানান, "এটা আমি। আমি আছি। আমি জানি না আমার নামে নিখোঁজ পোস্টার কোথায় পড়েছে। যারা পোস্টার লাগিয়েছেন তাঁদের উদ্দেশ্য কী সেটাও জানি না।"
এবারও সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হয়েছেন তিনি। এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, "এই নিয়ে দ্বিতীয়বার এই ধরনের ঘটনা ঘটলো। প্রথমবার পড়েছিল কোতরং-এ এবার রঘুনাথপুরে। আমি আর কোনও সাফাই দেব না এই নিয়ে। আমাকে ৩৬ হাজারের বেশি ভোটে এখানকার মানুষ জিতিয়েছে। আমার আপনাদের প্রতি দায় আছে। চেষ্টা করি প্রতি সপ্তাহে ৫-৬ টা অফিসে বসার, আপনাদের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করি। আমি কী কী কাজ করেছি তার যদি কেউ প্রমাণ চান, তাহলে আমি বলব ডিএম অফিসে গিয়ে খোঁজ নিন। বিধায়ক তহবিলের অর্থ সমান ভাবে সব জায়গায় বণ্টন করেছি। ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট অনুযায়ী বিধায়ক হিসেবে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছি আমি।"
তবে, কোতরং-র পর রঘুনাথপুরেও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হওয়ায় তৃণমূলের হুগলি শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অরিন্দম গুঁইন বলেন, রাজনৈতিক ভাবে দেউলিয়া হয়ে যাওয়ার কারণে বিজেপি এসব করছে। বিধায়ক শুধু এলাকায় থাকেনই না, উন্নয়নমূলক কাজও করেন। সেটা ওদের চোখে পড়ে না।
প্রসঙ্গত, এর আগেও আসানসোলের তৃণমূল সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা এবং আসানসোল দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পালের নামে নিখোঁজ পোস্টারে ছেয়ে গিয়েছিল এলাকা। সেইসময় একে অপরের উপর ঘটনার দায় চাপায় তৃণমূল এবং বিজেপি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন