তৃণমূল বিধায়ক খগেশ্বর রায়ের বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতনের অভিযোগ তুলে আদালতের দ্বারস্থ হলেন তাঁর পুত্রবধূ পিঙ্কি রায়। আদালতও এক মাসের মধ্যে এই ঘটনার তদন্ত রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। এই ঘটনায় তীব্র অস্বস্তিতে পড়েছে রাজ্যের শাসকদল।
জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জ কেন্দ্রের তিনবারের বিধায়ক খগেশ্বর রায়ের পুত্রবধূ পিঙ্কি রায়ের অভিযোগ, এর আগে একাধিকবার স্থানীয় থানায় গিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি। কিন্তু শ্বশুড়বাড়ির রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। তাই বাধ্য হয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি।
আদালতে পেশ করা আবেদনে পিঙ্কি জানান, ২০১৯ সালে খগেশ্বর রায়ের পুত্র দিবাকর রায়ের সাথে বিয়ে হয় তাঁর। বিয়ের পর থেকেই নিয়মিত তাঁর স্বামী এবং শ্বাশুড়ি তাঁকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতেন।
এ প্রসঙ্গে নির্যাতিতা সংবাদমাধ্যমে বলেন, "আমার উপর মানসিক নির্যাতনের কথা আমি আমার শ্বশুরকে জানিয়েছিলাম। কিন্তু তিনি কোনো ব্যবস্থা নেননি। বিচার চেয়ে থানায়ও গিয়েছিলাম, কিন্তু আমার শ্বশুরের প্রভাবের কারণে তারাও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। তাই আমি আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি। আদালত এই বিষয়টির তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।"
আগামী ১২ জুনের মধ্যে পুলিশকে বিষয়টির তদন্ত করে রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
যদিও এই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূল বিধায়ক খগেশ্বর রায়। তিনি একে "রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র" বলে দাবী করে বলেছেন, "সমস্ত অভিযোগ বানানো। আমার ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য একটি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। যাইহোক, আমি আইনি ব্যবস্থা এবং বিচার ব্যবস্থায় বিশ্বাস করি। আমি নিশ্চিত যে সত্য বেরিয়ে আসবে।"
অন্যদিকে এই ঘটনার জন্য নিজের দলের মধ্যেই সমালোচনার মুখে পড়েছেন খগেশ্বর রায়। তৃণমূলের এসসি/এসটি/ওবিসি সেলের জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি কৃষ্ণ দাস এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে বিধায়ককে আক্রমণ করেছেন। কৃষ্ণা বলেন, "একজন ব্যক্তি কীভাবে জনগণের নেতা হতে পারে যদি সে তাঁর নিজের পরিবারের সদস্যদের সাথে সঠিক আচরণ না করে? এই জাতীয় নেতাদের সাথে দল চলতে পারে না।"
-With IANS Inputs
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন