পঞ্চায়েত নির্বাচনের একদিন আগে ফের বিস্ফোরক তৃণমূল বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী। সোশ্যাল মিডিয়ায় দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন তিনি। তাঁর কথায়, এত চোর-ধান্ধাবাজ যে একটা দলে থাকতে পারে তাঁর জানা ছিলনা। এই চোর ধান্ধাবাজরাই আবার বড় বড় নেতাদের এত প্রিয়।
পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন পর্বের সময় থেকেই দলের উপর ক্ষুব্ধ হুগলীর বলাগড়ের তৃণমূল বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী। টাকা নিয়ে প্রার্থী করার অভিযোগ তুলেছিলেন দলের ব্লক সভাপতির বিরুদ্ধে। গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে একদময় দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন তিনি। এখনও থামেনি সেই বিতর্ক। ফের একবার দলের বিরুদ্ধে সরব হলেন তিনি।
বৃহস্পতিবার বলাগড়ে নির্বাচনী প্রচারে যান তৃণমূল নেতা সব্যসাচী দত্ত। জনসভার পর এক সাংবাদিক বৈঠকে বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারীকে আক্রমণ করেন তিনি। তিনি বলেন, মনোরঞ্জন ব্যাপারী রাজনৈতিকভাবে সক্রিয় নন, গ্রাম থেকে হঠাৎ উঠে এসে বিধায়ক হয়েছেন। স্থানীয় কোনও তৃণমূল নেতা তাঁর পাশে নেই।
সব্যসাচীর এই মন্তব্যের পর দলের ক্ষোভ উগরে দেন মনোরঞ্জন ব্যাপারী। শুক্রবার দুপুরে নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লেখেন, “এত চোর এত ধান্ধাবাজ যে একটা দলে থাকতে পারে আমার জানা ছিলনা। জানা ছিলনা সেই চোর ধান্ধাবাজগুলো বড় বড় নেতাদের এত প্রিয়।“
সব্যসাচী দত্তের নাম না নিয়ে তাঁকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, “এক তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যাওয়া, আবার ভোটের পরে বিজেপি থেকে তৃণমুলে ফেরা এক নেতা বলাগড়ে এসে প্রেস মিটিং করে গেলেন। আমি বলাগড়ের জনগণের ভোটে নির্বাচিত বিধায়ক। আমাকে তিনি একটা খবর দেবার প্রয়োজন আছে মনে করলেন না। কারা তাকে ঘিরে বসেছিল বলাগড়ের মানুষ দেখেছেন। তাদের সবাই চেনেন, তাই আমি কিছু বলতে চাই না। সব ভোটের বাক্স খুললে বোঝা যাবে। সব জবাব মানুষ ভোটের বাক্সে দেবেন।“
অন্য একটি পোস্টে তিনি লেখেন, “আমার নাম মনোরঞ্জন ব্যাপারী। আমার জিভে তালা মারবে সে তালা আজও তৈরী হয়নি। সত্যের জন্য সব কিছু ত্যাগ করতে রাজি আছি, কিন্ত কোন কিছুর জন্য সত্য ন্যায় আদর্শ থেকে বিচ্যুত হবো না।“
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন