দলীয় নির্দেশকে অগ্রাহ্য করে বিরোধীদের সমর্থন নিয়ে পঞ্চায়েতে স্থায়ী সমিতি গঠনে সহায়তা করেছে জলঙ্গির তৃণমূল বিধায়ক। এই অভিযোগে তৃণমূল বিধায়ক আব্দুর রজ্জাককে শোকজ করলো দল। আব্দুর রজ্জাকের বিরুদ্ধে দলীয় প্রার্থীকেই হারিয়ে দেওয়ার অভিযোগ করছেন মুর্শিদাবাদের তৃণমূল জেলা নেতৃত্ব। যদিও পুরোটাই চক্রান্ত বলে দাবি করেছেন ওই বিধায়ক।
তৃণমূলের ক্রমশ অস্বস্তি বাড়াচ্ছে মালদহ এবং মুর্শিদাবাদ জেলা। এর আগে মুর্শিদাবাদের আরেক তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবিরকে নিয়ে দলের অন্দরেই ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল। এবার জলঙ্গির বিধায়কের বিরুদ্ধে দলবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগ সামনে আসছে। ঘটনার সূত্রপাত হয় পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী সমিতির বোর্ড গঠন নিয়ে। বৃহস্পতিবার ওই সমিতির বোর্ড গঠনের সময় আব্দুর রজ্জাক ও জেলা তৃণমূলের যুব সভাপতি রাকিবুল উপস্থিত ছিলেন। এই রাকিবুল আবার মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি শাওনি সিংহ রায়ের ঘনিষ্ঠ।
রাকিবুলের অভিযোগ, তৃণমূল বিধায়ক দলের তরফ থেকে প্রস্তাবিত প্রার্থীকে হারানোর জন্য বিরোধীদের সাহায্য নিয়েছে। বোর্ডের সভাপতি হয়েছেন আব্দুর রজ্জাক ঘনিষ্ঠ কবিরুল ইসিলাম। কবিরুলকে সমর্থন করেছেন বিধারকের ৪ ঘনিষ্ঠ প্রার্থী বাম-কংগ্রেস জোটের ১২ সদস্য, বিজেপির দু'জন এবং একজন নির্দল সদস্য।
এই জলঙ্গি পঞ্চায়েত সমিতির ৩০টি আসনের মধ্যে ১৫টি আসনে জিতেছিল শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। ১২টি আসন জেতে বাম-কংগ্রেস জোট। দুটি যায় বিজেপির ঝুলিতে এবং একটিতে জয়ী হয় নির্দল। ফলে বোর্ড গঠনের জন্য সমর্থন প্রয়োজন ছিল ১৬টি।
এই ঘটনা জানতে পারেন শাওনি সিংহ রায়। তারপরই তৃণমূল বিধায়ককে শোকজ নোটিশ দিয়েছেন। ২৪ ঘন্টার মধ্যে জেলা নেতৃত্বের কাছে কারণ দর্শাতে হবে আব্দুর রজ্জাককে। ওই বিধায়কের পাশাপাশি শোকজ করা হয়েছে তৃণমূলের এক ব্লক সভাপতি ও এক পঞ্চায়েত প্রধানকেও।
যদিও সমস্ত অভিযোগে গুরুত্ব দিতে নারাজ আব্দুর রজ্জাক। পাল্টা শাওনির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করছেন তিনি। তৃণমূল বিধায়ক বলেন, 'শাওনি সিংহ নিজে মুর্শিদাবাদের একটি হোটেলে বিরোধী সদস্যদের সাথে বৈঠক করেছেন। ওই বৈঠকেই ঠিক হয়েছিল কীভাবে আমাকে পর্যুদস্ত করা যায়। এই কাজে যুক্ত রয়েছে জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতিও'।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন