মেধা তালিকায় অনেক নিচে নাম থাকা সত্ত্বেও প্রভাব খাটিয়ে বাড়ির পাশের স্কুলেই মেয়ের চাকরির ব্যবস্থা করেছিলেন বিধায়ক পরেশ অধিকারী। সেই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছিল গোটা রাজ্যে। হাইকোর্টের নির্দেশে চাকরী চলে যায় মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর। এরপর শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকেও সরিয়ে দেওয়া হয় মেখলিগঞ্জের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক পরেশ অধিকারীকে। ফের একবার সংবাদ শিরোনামে তিনি। জল্পনা চলতি মাসেই ঘাসফুল শিবির ছেড়ে পদ্মশিবিরে যোগ দিতে চলেছেন পরেশ অধিকারী। জানা যাচ্ছে, আগামী ১৯ জানুয়ারী মেখলিগঞ্জে শুভেন্দুর সভাতেই বিজেপিতে যোগ দেবেন প্রাক্তন মন্ত্রী।
ফরওয়ার্ড ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন পরেশ। বিধায়কও হন তিনি। এবার নাকি তিনি বিজেপিতে যোগ দেবেন। বিজেপির জলপাইগুড়ি জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক দধিরাম রায় এই দাবিকে সত্যি বলে সিলমোহর দিয়েছেন। দধিরামের দাবি, “শুভেন্দু অধিকারীর জনসভায় বিজেপিতে যোগ দিতে চেয়ে পরেশ অধিকারী দলের রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। রাজ্য নেতৃত্ব আমাদের মতামত জানতে চেয়েছে। কিন্তু পরেশের মতো চাকরি চোরকে আমরা দলে নেব না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমাদের সিদ্ধান্ত জানার পর রাজ্য নেতৃত্ব সহমত হয়েছে।“
তবে পরেশের এই দলবদলের খবর নিয়ে কোনো চর্চা হচ্ছে না ঘাসফুল শিবিরে। বরং দল সূত্রে জানা যাচ্ছে, পরেশ গেলে তৃণমূলের পচা মাল বিজেপি নেয় বলে প্রচার করা হবে শাসকদলের তরফ থেকে। এই বিষয়ে তৃণমূল যুব কংগ্রেসের জলপাইগুড়ি জেলার সাধারণ সম্পাদক বাপ্পা মণ্ডল ফেসবুকে লেখেন, “জেল যাওয়া ঠেকাতে সিবিআইয়ের চার্জশিটে নাম ওঠা পচা আলু বঙ্গ–বিজেপিতে যোগ দিতে চাইছে।“
এবিষয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজেপির মেখলিগঞ্জ বিধানসভার আহ্বায়ক পবন ভাদানিও একই দাবি করেছেন। তিনি লিখেছেন, “গ্রেফতারি এড়াতে বিজেপির সঙ্গে গোপন যোগাযোগ। মহাশয় বিজেপি আর সিবিআই এক নয়।“
এই প্রসঙ্গে পরেশ অধিকারী নিজে এক সংবাদ মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। বিধায়কের দাবি, এই সব কিছুই গুজব। তিনি তৃণমূল ছাড়ছেন না। বিধায়কের কথায়, “ভিত্তিহীন বিষয় নিয়ে গুজব ছড়িয়েছে। আমি তৃণমূল ছাড়ছি না।“
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন