তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লাকে জেড প্লাস নিরাপত্তা দিল রাজ্য সরকার। রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা।
পঞ্চায়েতকে ভোটকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ভাঙড়ে। মনোনয়ন পর্বে মুড়িমুড়কির মতো বোমা পড়েছে। চলেছে গুলি। ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। ক্যানিং পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লার দিকে আঙুল তুলেছে বিরোধীরা। এই অশান্তির মাঝেই শওকতের নিরাপত্তা বাড়ালো রাজ্য সরকার। তাঁকে জ়েড প্লাস নিরাপত্তা দিল নবান্ন। এই মুহূর্তে তাঁর ওয়াই প্লাস ক্যাটাগরির নিরাপত্তা রয়েছে।
শওকতের নিরাপত্তা বাড়ানো প্রসঙ্গে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেন, “নিরাপত্তা বাড়ানো বা কমানো প্রশাসনের ব্যাপার। তবে দিদির দলের হার্মাদ বাহিনীর নেতাদেরও এখন নিরাপত্তা বাহিনীর দরকার পড়ছে, এটা দেখতে ভাল লাগছে, একটা তৃপ্তি আসছে।“
সিপিআইএম-এর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেন, “ভাঙড়ে মনোনয়নকে কেন্দ্র করে তৈরি হওয়া গোলমালের মাথা যিনি, তাঁরই নিরাপত্তা বাড়ালো রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী বুঝিয়ে দিলেন দুষ্কৃতী সুলভ কাজই তাঁর দল ও সরকারের পছন্দ।“
নিরাপত্তা বাড়ানোয় মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে বিধায়ক শওকত মোল্লা বলেন, ” রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কিছু উপলব্ধি করেছেন। বিশেষ করে, ভাঙড়ের মাটিতে যে সন্ত্রাসের কার্যকলাপ চলছে, কিছু কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তি যে কর্মকাণ্ড চালাচ্ছেন, তার ফলে আমাকে জেড ক্যাটিগরির নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে।“ যদিও তাঁর নিরাপত্তার বহর বৃদ্ধি সংক্রান্ত সরকারি নির্দেশিকা এখনও প্রকাশ্যে আসেনি।
অন্যদিকে ভাঙড়ে হওয়া অশান্তির জেরে নিজের সুরক্ষা চেয়ে গত সপ্তাহেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। কিন্তু এখনও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক থেকে কোনও বার্তা আসেনি। নিজের নিরাপত্তার জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে হাই কোর্টেও মামলা করছেন নওশাদ।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন