শনিবার ঘাটালের তিনটি সরকারি পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন সাংসদ দেব। ঘাটাল রবীন্দ্র শতবার্ষিকী মহাবিদ্যালয়, ঘাটাল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতি এবং বীরসিংহ উন্নয়ন পর্ষদের ভাইস চেয়ারম্যানের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন দেব। লোকসভা ভোটের আগে হঠাত এই ইস্তফা নিয়ে জল্পনা তৈরি হচ্ছে রাজনৈতিক মহলে। তাহলে কি এবার প্রার্থী হতে চান না অভিনেতা দেব?
যদিও আচমকা তিনটি সরকারি পদ থেকে ইস্তফা নিয়ে এখনও কোনও মন্তব্য করেননি অভিনেতা সাংসদ দেব। তবে দেবের ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে খবর, ব্যক্তিগত কারণেই তিনি এই ইস্তফার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এব্যাপারে দলের মন্ত্রী শশী পাঁজাকে জিজ্ঞাসা করা হলে, তাঁর কিছু জানা নেই বলে মন্তব্য করেন মন্ত্রী।
বেশ কিছুদিন ধরে জল্পনা ছিল আগামী লোকসভায় প্রার্থী হতে চায় না দেব। তবে গত জানুয়ারিতে কালীঘাটে দলনেত্রীর সঙ্গে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা কমিটির বৈঠকে সেই জল্পনার অবসান ঘটে। ওই বৈঠকে মমতা বলেছিলেন, ‘‘দেব আমাদের দলের সম্পদ। বেশ কিছু নেতা তাঁর সঙ্গে এমন আচরণ করেছেন, যার ফলে ওর অসুবিধা হচ্ছে। এমনটা কেন হবে? ও শিল্পী মানুষ। এটা তোমরা কী করছো?’’
দলনেত্রীর বার্তা পেয়ে আসন্ন লোকসভায় ফের একবার প্রার্থী হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন দেব। কিন্তু তার মাস খানেকের মধ্যেই আচমকা তিনটে সরকারি পদ থেকে ইস্তফা দেওয়া নিয়ে জল্পনা তৈরি হচ্ছে।
এব্যাপারে শাসকদলকে কটাক্ষ করেছেন স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক শীতল কপাট। তিনি বলেন, ‘‘এটা তো হওয়ারই ছিল। কারণ এতগুলো পদ নিয়ে বসে আছেন। চালাতে পারছেন না। এটা একটা কারণ হতে পারে। অন্য একটি কারণ, দীর্ঘদিন পর হয়তো বুঝতে পেরেছেন, তৃণমূল মানে চোর, আর চোর মানেই তৃণমূল। সে জায়গায় নিজেকে গুটিয়ে নিতে চাইছেন।’’
উল্লেখ্য, ২০১৪ লোকসভা নির্বাচনে আচমকাই ঘাটাল থেকে দেবকে প্রার্থী করে সকলকে চমকে দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেবার ভোটে দাঁড়িয়ে বামফ্রন্টের সিপিআই প্রার্থী সন্তোষ রানাকে পরাজিত করে সাংসদ হন তিনি। ২০১৯ সালে প্রাক্তন আইপিএস তথা বিজেপি প্রার্থী ভারতী ঘোষকে হারিয়ে দ্বিতীয় বার জয়ী হন দেব।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন