Jaynagar: জয়নগরে খুন তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি! একের পর এক CPIM কর্মী- সমর্থকদের বাড়িতে আগুন

People's Reporter: সুজন চক্রবর্তী বলেন, "সিপিআইএম তো শূন্য তাহলে সিপিআইএম খুন করে কীভাবে? পঞ্চায়েতে তৃণমূল সবক'টি আসনেই জয়ী। সেখানে সিপিআইএম-র বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলছেন।"
ছবি - প্রতীকী
ছবি - প্রতীকী
Published on

সোমবার ভোরে গুলি করে খুন করা হলো দক্ষিণ ২৪ পরগনার বামনগাছি পঞ্চায়েতের তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যকে। মৃতের নাম সাইফুদ্দিন লস্কর। মৃতের পরিবারের লোক সিপিআইএমের বিরুদ্ধে হামলা চালানোর অভিযোগ করছেন। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে খুন বলে পাল্টা দাবি করেছে সিপিআইএম।

ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগর এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে খবর, ভোর ৫টার দিকে নামাজের জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন বছর ৪৩-র সাইফুদ্দিন লস্কর। আচমকাই তাঁকে লক্ষ্য করে একরাউন্ড গুলি চালায় দুষ্কৃতিরা। গুলিবিদ্ধ হন সাইফুদ্দিন। তাঁকে দ্রুত জয়নগর ১ ব্লকের পদ্মেরহাট গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেই মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। অন্যদিকে দুজনকে দুষ্কৃতী সন্দেহে ধাওয়া করে একজনকে ধরে ফেলেন স্থানীয়রা। ধৃত ব্যক্তিকে পিটিয়ে মেরে ফেলেন তাঁরা।

নিহত সাইফুদ্দিন লস্করের বাবার অভিযোগ, 'আমার ছেলের সাথে কারুর শত্রুতা নেই। বিরোধীরা জানতো আমার ছেলেকে সরাতে পারলে অঞ্চল দখল করা যাবে। তাই সিপিআইএম চক্রান্ত করে এই খুন করেছে'।

ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক সওকত মোল্লাও নিহতের বাবার অভিযোগকে সমর্থন করে বলেন, 'বিজেপি ও সিপিআইএম আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই হামলা চালিয়েছে। এখানে তৃণমূলের কোনো দ্বন্দ্ব নেই। সাইফুদ্দিন খুবই ভালো মানুষ ছিলেন। একদম সামনে থেকে একদল দুষ্কৃতী গুলি করেছে। পুলিশ ইতিমধ্যেই একজনকে গ্রেফতার করেছে। অপরাধীরা উপযুক্ত শাস্তি পাবেন'।

তৃণমূল নেতা খুনের পরেই এলাকা রীতিমতো উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। নিহতের বাড়ি থেকে ৫ কিমি দূরে দলুয়াখাকি গ্রামে একের পর এক সিপিআইএম কর্মী সমর্থকদের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে উত্তেজিত তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে। ক্ষতিগ্রস্ত সিপিআইএম সমর্থকরা জানিয়েছেন, পুলিশের উপস্থিতিতেই বাড়িতে ভাঙচুর এবং আগুন লাগানো হয়। টাকা-পয়সা, সোনা এমনকি গবাদি পশুও লুঠ করা হয়েছে। একাধিক শিশুও নিখোঁজ। অনেকেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।

সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তী এই প্রসঙ্গে পাল্টা সুর চড়িয়েছেন। তিনি বলেন, "এই সাইফুদ্দিনকে স্থানীয় মানুষরা মাফিয়া নেতা হিসেবেই চেনে। বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে তাঁর মাফিয়া রাজ চলে। যে কোনো মৃত্যুই দুঃখজনক। কিন্তু রাজ্যে তো তৃণমূলের মধ্যে বখরার লড়াই হচ্ছে। এটাও বখরার লড়াইয়ের জন্যই খুন। এখন তৃণমূল সিপিআইএম-র বিরুদ্ধে অভিযোগ করছে। আরে সিপিআইএম তো শূন্য তাহলে সিপিআইএম খুন করে কীভাবে? পঞ্চায়েতে তৃণমূল সবক'টি আসনেই জয়ী। সেখানে সিপিআইএম-র বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলছেন।"

উল্লেখ্য, এই সাইফুদ্দিন ছিলেন তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি। তাঁর স্ত্রী বামনগাছি পঞ্চায়েতের প্রধান। এলাকার দাপুটে তৃণমূল নেতা হিসেবেই পরিচিত ছিলেন।

ছবি - প্রতীকী
TMC: টানা ৫৩ ঘন্টা আয়কর তল্লাশি! 'কোনো দুর্নীতির সাথে যুক্ত নই' - সাফাই বিষ্ণুপুরের বিধায়কের

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in