পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথিতে তৃণমূল প্রার্থীর বিরুদ্ধে সরব তৃণমূল কর্মীরাই। আপাতত এগরা পুরসভায় তৃণমূল কর্মীদের বিক্ষোভ চরমে পৌঁছেছে। আসন্ন পুরভোটে কোথাও দাদার অনুগামী অর্থাৎ বিজেপি কর্মীদের টিকিট দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে, তো কোথাও প্রার্থী বদলেরও দাবি জানানো হয়েছে। এগরা পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডে সরাসরি ভোট বয়কটেরও দাবি উঠল।
আসন্ন পুরসভা নির্বাচনের প্রার্থীতালিকা ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই রাজ্যজুড়ে তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকদের প্রতিবাদ-বিক্ষোভ। একই কারণে উত্তপ্ত হয়ে উঠল পূর্ব মেদিনীপুর জেলা।
জানা গিয়েছে, ওই ওয়ার্ডে তৃণমূল প্রার্থী করেছে জয়ন্ত সাউকে। কিন্তু এলাকার তৃণমূল কর্মীদের দাবি যে প্রার্থী করতে হবে যুব তৃণমূল নেতা কৌস্তুভ দাসকে। তাই তাঁরা প্রার্থী বদলের দাবিতে সরব হয়েছেন। প্রার্থী বদল না হলে ভোট বয়কটের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিক্ষুব্ধ তৃণমূল কর্মীরা।
রবিবার বিকালে এগরা রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভও দেখান তাঁরা। বেশ কিছুক্ষণ ধরে বিক্ষোভ চলে। এরপর পুলিশ ও এগরা তৃণমূল নেতৃত্বের হস্তক্ষেপে রাজ্য সড়কে অবরোধ উঠে যায়। তাঁদের দাবি, কৌস্তুভ দাস দীর্ঘদিন ধরে এলাকার মানুষের পাশে আছেন। তাঁকেই প্রার্থী করা হোক। নয়তো তাঁরা ভোটই দেবেন না। বিক্ষোভকারীদের প্রশ্ন, বিজেপি কর্মী জয়ন্ত সাউকে কেন টিকিট দেওয়া হয়েছে।
একই মত এগরা শহর তৃণমূলের সভাপতি উত্তম দাসেরও। তাঁরও অভিযোগ, জয়ন্ত সাউ তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি-তে যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু এখনও তৃণমূলে আসেননি। তাহলে তিনি কী করে তৃণমূলে হয়ে লড়াই করার টিকিট পেলেন?
তিনি বলেন, ‘কৌস্তুভ দাস ৭ বছর ধরে সংগঠন তৈরি করেছেন। সবাই জানত তিনি টিকিট পাবেন। প্রস্তুতিও শুরু হয়েছিল। যুব সভাপতির পদে তিনি ইস্তফা দিলেও তাঁকে টিকিট দেওয়া হয়নি। বিধায়ক বা জেলা সাংগঠনিক সভাপতি টিকিট দিয়েছেন। তাই কর্মীদের ক্ষোভ কমানোর দায়িত্ব তাঁদেরই নিতে হবে। কীভাবে হবে তা তাঁদেরকেই দেখতে হবে।’
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন