টানা বৃষ্টির জেরে শনিবার বাঁকুড়ায় মাটির দেওয়াল চাপা পড়ে তিন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। রাজধানীতে আয়োজিত ধর্না মঞ্চে যোগ দেওয়ানোর জন্য এই তিন শিশুর বাবাদের দিল্লি নিয়ে গেল তৃণমূল। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক ব্যানার্জি সন্তানহারা বাবাদের নিয়ে যান বলে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে। যা নিয়ে কটাক্ষ করেছে বিরোধীরা।
আবাস যোজনার টাকা, একশো দিনের কাজের বকেয়া টাকা আদায় সহ একাধিক দাবিতে কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে দিল্লিতে সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে তৃণমূলের ধর্না। প্রায় ৫০টি বাসে করে বাংলা থেকে তৃণমূল কর্মী ও শ্রমিকদের নিয়ে যাওয়া হয়েছে দিল্লিতে। তাঁদের সাথেই ওই কর্মসূচিতে যোগ দেবেন বিষ্ণুপুরের বাঁকাদহ অঞ্চলের গরামারা গ্রামের সন্তানহারা অসহায় বাবারা। শনিবার একটি বাড়ির মাটির দেওয়ালের পাশে বসে খেলা করছিল শিশুরা। তখনই ভেঙে পড়ে দেওয়াল। অভিযোগ, আবাস যোজনার টাকা না পাওয়ায় পাকা বাড়ি করতে পারেননি ওই বাড়ির মালিক।
বিরোধীদের অভিযোগ, মৃতদের পরিবার নিয়ে রাজনীতি করছে তৃণমূল কংগ্রেস। ওই গ্রাম থেকে তৃণমূলের নেতারা চাপ দিয়ে জোর করে সন্তান হারা বাবাদের সহ মোট ৪ জনকে দিল্লি নিয়ে গেছে। এই চারজনের মধ্যে একজন মৃত ৩ বছরের শিশু অঙ্কুশ সর্দারের বাবা, ৫ বছরের মৃত শিশু রোহন সর্দারের বাবা, মৃত ৪ বছরের শিশু নিশা সর্দারের বাবা প্রশান্ত সর্দার এবং ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির এক সদস্য রয়েছেন। বিরোধীরা ভয় দেখানোর অভিযোগ করলেও ওই চারজনের কোনো প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
রবিবার দিল্লি যাওয়ার সময় অভিষেক ব্যানার্জি বলেছিলেন, "তিনটি ফুলের মতো শিশু মারা গিয়েছে। এর দায় নরেন্দ্র মোদী, গিরিরাজ সিং এবং রাজ্যের বিজেপি নেতাদের। তদন্ত করে গিরিরাজ সিং সহ সবক'টাকে গ্রেফতার করা উচিত। পরিবারের এত শোকের দিনেও মৃতদের পরিবারের লোকেরা এক কাপড়ে দিল্লি যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়েছেন। এঁরা কেউ আবাসা যোজনার ঘর পায়নি। একশো দিনের কাজের টাকাও পায়নি। ঘটনার পর আমার সঙ্গে দেখা করে তাঁরা দিল্লি যাবেন বলে জানিয়েছেন। তাঁরা বলেছেন এই ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না হয়, সেই জন্য আন্দোলন জোরালো করতে দিল্লি যাবো"।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন