তৃণমূলের অন্তর্কোন্দল ফের প্রকাশ্যে এল। দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের জেরে আক্রান্ত হলেন এক তৃণমূল নেতা। শুধু তাই নয়, ভাঙচুর করা হয় দলেরই কার্যালয়। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে ভাঙড়ে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এলাকায় পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, মঙ্গলবার ভাঙড় ২ নম্বর ব্লক অফিসে ব্লকের কার্যকরী সভাপতি তৃণমূল নেতা আব্দুর রহিমকে মারধর করা হয়। ঘটনায় অভিযোগের আঙুল উঠেছে পঞ্চায়েত সদস্যা উম্মুল ওয়ারার স্বামী সেলিম মোল্লার দিকে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম।
রহিমের অভিযোগ, ‘আমাকে ঘিরে ধরে মারধর করা হয়।' তিনি আরাবুলের দিকে আঙুল তুলে বলেন, 'আরাবুল নিজে আমার উপরে চড়াও হয়। সেলিম লাঠি দিয়ে মারধর করেছে। আমার আঙুল ভেঙে গিয়েছে।'
এই ঘটনার প্রতিবাদে শোনপুর বাজারের ৯১ নম্বর রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল কর্মীরা। বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেন ভাঙড় ২ ব্লকের তৃণমূল সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি মহসিন গাজি, তৃণমূল নেতা মিজানুর আলম, যুব নেতা রশিদ মোল্লা, মোজাফফর আহমেদ, সাবির মাস্টার-সহ আরাবুল বিরোধী তৃণমূল নেতারা।
এদিকে, ভাঙড়ের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ছবি তুলতে গেলে সংবাদমাধ্যমকে আটকানো হয় বলে অভিযোগ ওঠে। এক সংবাদকর্মীর মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টাও করেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা।
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে আরাবুল ইসলাম সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, 'যারা কার্যালয় ভাঙচুর করেছে তারা কারা, সবাই জানে।' তাঁর অভিযোগ, এরাই ২০১১ সালে নির্দল হয়ে তাঁকে হারিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি ছিঁড়ে কার্যালয় ভাঙচুর করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, মিজানুর আলম, মহসিন গাজি, এরা ক্রিমিনাল।
সাংবাদিকদের নিগ্রহ করার প্রশ্নের উত্তরে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে নিয়ে বলেন, প্রশাসনকে তিনি সব জানাবেন। অভিযুক্তদের অবিলম্বে যেন গ্রেফতার করা হয়।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন