আজই যে তিনি বিজেপিতে যোগ দেবেন সেটা গতকালই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। আনুষ্ঠানিকভাবে এবার বিজেপিতে যোগ দিলেন শুভেন্দু অধিকারীর বাবা শিশির অধিকারী। রবিবার এগরায় অমিত শাহের সভায় বিজেপির পতাকা হাতে তুলে নিলেন তৃণমূলের সাংসদ। তাঁর কথায়, এটা তাঁর আত্মসম্মানের লড়াই।
তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান প্রসঙ্গে প্রবীণ সাংসদ বলেন, "এটা আমার আত্মসম্মানের লড়াই। চিরকাল লড়াই করেছি, আগামী দিনেও লড়ব। এটা মেদিনীপুরের সম্মান রক্ষার লড়াই।" তাঁর বিশ্বাস নন্দীগ্রামে তাঁর ছেলে শুভেন্দুই জিতবে। কার্যত হুঁশিয়ারির সুরে তিনি বলেন, "পূর্ব মেদিনীপুরে সাফ হয়ে যাবে তৃণমূল।"
প্রসঙ্গত, নন্দীগ্রামে বিজেপির টিকিটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন শুভেন্দু অধিকারী। তৃণমূলের হয়ে এখানে লড়ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সংযুক্ত মোর্চা থেকে প্রার্থী হয়েছেন সিপিআইএম যুব নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়।
শুভেন্দুর দলবদলের পর থেকে বয়সের কারণ দেখিয়ে শিশির অধিকারীকে নানা দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয় তৃণমূল। অধিকারী পরিবারের বিপক্ষ শিবিরের নেতাকে নানা পদে বসায় তৃণমূল। শিশির অধিকারীও আকারে ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, তিনিও ছেলের পথেই চলবেন। বিধানসভা নির্বাচনে প্রচার করবেন ছেলের হয়েই। গতকাল দুপুরে কাঁথির তৃণমূল সাংসদের বাড়িতে কেন্দ্রীয় জাহাজমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্যের যাওয়ার পরই স্পষ্ট হয়ে যায় আজ শাহের সভাতেই ছোটফুল ছেড়ে বড়ফুলের হাত ধরবেন তিনি।
এদিন এগরার সভা থেকে তৃণমূল সরকারকে উৎখাতের ডাক দিয়ে অমিত শাহ বলেন, "বাংলায় দুর্গাপুজা করার জন্য আদালতের অনুমতি নিতে হয়। একবার পদ্মের সরকার করে দিন। বাংলার মাটিতে দুর্গাপুজা, সরস্বতী পুজা কেউ রুখতে পারবে না।" সোনার বাংলা গড়ার আবেদন জানিয়ে তিনি বলেন, বিজেপির সরকার এলেই সপ্তম বেতন কমিশন চালু হয়ে যাবে। কাউকে আর কাটমানি দিতে হবে না।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন