আবাস যোজনায় ঘর পেতে হলে তৃণমূল করতে হবে। এমনই হুঁশিয়ারি দিলেন জলপাইগুড়ি তৃণমূলের জেলা সভাপতি মহুয়া গোপ। যা নিয়ে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির পর এখন আবাস যোজনায় দুর্নীতি নিয়ে রাজ্য রাজনীতির পারদ ঊর্ধ্বে। একের পর এক প্রকাশ্যে আসছে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার দুর্নীতির খবর। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অভিযোগ উঠছে শাসকদলের নেতা নেত্রীরাই এই দুর্নীতির সাথে যুক্ত রয়েছেন। এরই মধ্যে কার্যত হুঁশিয়ারি দিলেন তৃণমূল নেত্রী মহুয়া গোপ।
শনিবার পঞ্চায়েত নির্বাচনের লক্ষ্যে এক কর্মীসভায় বক্তব্য রাখার সময় তৃণমূল নেত্রী বলেন, 'ঘরের তালিকা দেখে যারা আজ বিজেপির কথা শুনছেন তাদের মনে রাখতে হবে পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি, জেলা পরিষদ ও সরকারটা তৃণমূলের। তার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদি এই পাহাড়পুরে সরকারি সুবিধা পেতে হয়, সব সরকারি সুবিধার পাশাপাশি যদি ঘরটাও পেতে হয় তাহলে তৃণমূল কংগ্রেস দলটাই করতে হবে'।
স্থানীয় সিপিআইএম নেতার দাবি, তৃণমূল নেত্রী ঠিক কথাই বলেছেন কারণ পশ্চিমবঙ্গে আবাস যোজনায় বাড়ি তৃণমূলের লোকেরাই পেয়েছে। জলপাইগুড়ি জেলায় অনেক চা শ্রমিক আছে যারা যোগ্য হওয়া সত্ত্বেও ঘর পাননি।
উল্লেখ্য, কিছু দিন আগেই কোচবিহারের মাথাভাঙাতে আবাস দুর্নীতি নিয়ে একে অপরের দিকে আঙুল তুলছিল তৃণমূলেরই অঞ্চল সভাপতি ও বুথ সভাপতি। পাকা বাড়ি থাকা সত্ত্বেও আবাসের তালিকায় অঞ্চল সভাপতি ও তাঁর বাবার নাম রয়েছে। এমনটাই অভিযোগ করেছিলেন বুথ সভাপতি। অঞ্চল সভাপতির অপসারণের জন্য বুথ সভাপতি মিছিলের আয়োজনও করেছিলেন। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে জেলায় জেলায় আবাস দুর্নীতির খবর প্রকাশ্যে আসছে। যা পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে শাসক দলকে চাপে ফেলতে পারে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন