পঞ্চায়েত ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই বিরোধী দলের কর্মী খুনের অভিযোগে উত্তপ্ত হয়ে উঠলো মুর্শিদাবাদ। এক কংগ্রেস কর্মীকে গুলি করে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে শসকদল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। আহত হয়েছেন আরও তিন জন। এই ঘটনায় দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শনিবার নিহতের পরিবারের সাথে দেখা করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরি। এই খুনের ঘটনায় জেলা পুলিশের কাছে রিপোর্ট তলব করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
শুক্রবার সন্ধ্যায় মুর্শিদাবাদের খড়গ্রাম থানার অন্তর্গত রতনপুর নলদীপ গ্রামের বাসিন্দা কংগ্রেস কর্মী ফুলচাঁদ শেখকে (৪২) পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করা হয় বলে অভিযোগ। জানা গেছে, ফুলচাঁদের বাড়ির সামনেই স্থানীয় তৃণমূল নেতা রফিকের নেতৃত্বে পনেরো জন দুষ্কৃতী তাঁকে ঘিরে ধরে, মাথায় পর পর ৬ রাউন্ড গুলি করে। এইসময় কয়েকজন বাধা দিতে এলে, তাঁদেরও বেধড়ক মারধর করা হয়। এর মধ্যে স্থানীয়রা ছুটে আসায় এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান অভিযুক্তরা।
পেশায় পরিযায়ী শ্রমিক ফুলচাঁদকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথমে খড়গ্রাম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে, তাঁকে কান্দি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে মৃত্যু হয় তাঁর। দিন দশেক আগেই কেরল থেকে বাড়ি ফিরেছেন ফুলচাঁদ।
ফুলচাঁদের পরিবারের দাবি, রাজনৈতিক কারণেই এই হত্যা। কংগ্রেস নেতৃত্বও এই অভিযোগ করেছেন। শুক্রবার রাতেই হাসপাতালে যান কান্দির প্রাক্তন বিধায়ক তথা কংগ্রেস নেতা সফিউল আলম খান।
এই ঘটনায় পুলিশ ও শাসকদলের দিকে আঙুল তুলেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। পুলিশের মদতে শাসকদলের কর্মীরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। তিনি বলেন, ‘‘যিনি খুন হলেন, তিনিই যেন অপরাধী! তাঁদের আশপাশেই পুলিশ ঘুরছে। অন্যদিকে অভিযুক্তদের গ্রামে আসতে বারণ করে দিয়েছে পুলিশ।“
অন্যদিকে মনোনয়নের দ্বিতীয় দিনেও জেলায় জেলায় অশান্তির খবর সামনে আসছে। বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরে বিজেপি প্রার্থীদের মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। আসানসোলের বারাবনিতে তৃণমূল ও সিপিআইএম কর্মীদের সংঘর্ষ বাঁধে। মুর্শিদাবাদের ডোমকলে সিপিআইএম-কংগ্রেসকে মনোনয়ন জমা দিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন