মুর্শিদাবাদে কংগ্রেস কর্মী গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় গ্রেফতার হলো তৃণমূলের বুথ সভাপতি আশরাফুল হক। দলীয় প্রার্থীকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছিল তৃণমূল। এমনই অভিযোগ করছে কংগ্রেস।
নির্বাচন ঘোষণার আগে থেকেই খবরের শিরোনামে ছিল মুর্শিদাবাদ। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে একাধিক মৃত্যুও হয়েছে এই জেলায়। এবার কংগ্রেস কর্মীর গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর সামনে আসছে। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার, মুর্শিদাবাদের শামসেরগঞ্জে। কংগ্রেসের অভিযোগ, স্থানীয় বিধায়ক আমিরুল ইসলামের উপস্থিতিতেই তাঁর অনুগামীরা গুলি চালিয়েছে। তাঁকে অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে। যদিও বিধায়কের দাবি, তিনি এই ধরণের কাজের সাথে যুক্ত নন। তাঁকে চক্রান্ত করে ফাঁসানো হচ্ছে। এলাকা দখলের জন্যই মিথ্যা অভিযোগ করে বদনামের চেষ্টা করা হচ্ছে।
কংগ্রেস সূত্রে খবর, প্রচার সেরে বাড়ি ফিরছিলেন জেলা পরিষদের কংগ্রেস প্রার্থী আনারুল হক। তখন আচমকাই গুলি চলে। গুলিবিদ্ধ হন কংগ্রেস কর্মী আরিফ শেখ। তাঁর পেটে গুলি লাগে। তিনি জঙ্গিপুর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। চিকিৎসক সূত্রে খবর গুলিবিদ্ধ কংগ্রেস কর্মীর অবস্থা আশঙ্কাজনক। ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে রাস্তা অবরোধও করে কংগ্রস কর্মী সমর্থকরা।
বিধায়কের গ্রেফতারির দাবি জানালেও পুলিশ আপাতত আশরাফুল হক নামে এক তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করেছেন। তিনি শামসেরগঞ্জের তিনপাকুরিয়া অঞ্চলের ৮৪ নম্বর বুথের সভাপতি। পুলিশ সূত্রে খবর, তদন্ত শুরু হয়েছে। একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমবার বিধায়কের গ্রেফতারির দাবিতে থানা ঘেরাও কর্মসূচি নিয়েছে কংগ্রেস। যথাযত পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে তাঁদের আন্দলোন চলবে বলেই জানিয়েছেন কংগ্রেস প্রার্থী।
অধীর চৌধুরী বলেন, 'আজকে তৃণমূলের এমএলএ গুলি করছে। এর থেকে দুর্ভাগ্যের কিছু হতে পারে না। আগামীদিনে কি এই দৃশ্যই দেখতে হবে পশ্চিমবঙ্গকে? তৃণমূলের বিধায়ক গুলি চালাচ্ছে, পুলিশ পদক্ষেপ করছে না। যুবক গুলিবিদ্ধ হচ্ছে। আর সকলে ভাবছে পঞ্চায়েত নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হবে?'
তিনি আরও বলেন, 'চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন রোগীর মেরুদণ্ডে একটা গুলি আটকে রয়েছে। সেটা বের করতে গেলে রোগীর জীবন নিয়ে টানাটানি হতে পারে'।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন