দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ফের প্রাণ হারালেন দুই তৃণমূল কর্মী। অভিযোগের তির আইএসএফ আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। এই নিয়ে নির্বাচনী হিংসায় শেষ ৩৮ দিনে মৃত্যু হলো ৫৪ জনের।
শেখ মোসলেম নামে এক তৃণমূল কর্মীর মৃত্যু হয়েছে ভাঙড়ে। নিহতের ভাইপোর অভিযোগ, আইএসএফ কর্মীরা তাঁর কাকাকে নির্বাচনের আগের দিন রাতে বেধড়ক মারধর করে। লাঠি, বাঁশ, ইট দিয়ে চড়াও হয় তাঁর ওপর। তাঁর কাকা ওই এলাকার তৃণমূলের বুথ সভাপতি ছিলেন। তাই তাঁকে (নিহত তৃণমূলের বুথ সভাপতি) সরিয়ে দিতে পারলে আইএসএফ জয়ী হবে। গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল মোসলেমকে। শনিবার সকালে মৃত্যু হয়েছে তাঁর।
এই ঘটনায় ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লা বলেন, "শান্ত ভাঙড়কে অশান্ত করছে নওশাদ সিদ্দিকি। সব দায় ওর। নওশাদের মদতে আইএসএফ-র দুষ্কৃতীরা তৃণমূল কর্মীদের ওপর হামলা চালাচ্ছে। এর সাথে যুক্ত শুভেন্দু অধিকারীও। ও চাইছে ভাঙড়ে ৩৫৫ ধারা জারি করতে। ভাঙড়ে সন্ত্রাস ছড়ানোর দায় শুভেন্দুরও।"
যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে নওশাদ সিদ্দিকি। তিনি বলেন, "শওকত বাবুরা ইচ্ছাকৃতভাবে আমাদের কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা করছেন। তাঁদেরকে ঘরছাড়া করছেন। পুলিশ প্রশাসনকে বলবো, নিরপেক্ষ তদন্ত করলে সমস্তকিছু পরিষ্কার হয়ে যাবে।"
অন্যদিকে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুরে গুলি করে খুন কর হলো তৃণমূল কর্মী প্রলয় মণ্ডলকে। প্রাথমিকভাবে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে খুন মনে করা হলেও সেই দাবি উড়িয়েছে পরিবার। পরিবারের অভিযোগ, প্রোমোটিং বিবাদের জেরে খুন হতে হয়েছে ওই তৃণমূল কর্মীকে। শুক্রবার রাতে বাড়ি ফেরার পথে প্রলয় মণ্ডলকে ঘির ধরে দুষ্কৃতিরা। তারপরই এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে থাকে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন