জলপাইগুড়ির ধূপগুড়িতে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলের জেরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ালো। তৃণমূল জেলা সম্পাদক রাজেশ কুমার সিং-এর বাড়িতে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠলো পৌরসভার প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান তথা আর এক তৃণমূল কংগ্রেস নেতা অরূপ দের অনুগামীদের বিরুদ্ধে। দুই-পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী।
বৃহস্পতিবার বিকেলে ধূপগুড়ির একটি বেসরকারি ভবনে আসন্ন বিধানসভা উপনির্বাচন নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের বৈঠক চলছিল। ব্লক ও জেলা নেতৃত্বের উপস্থিতিতে চলছিল বৈঠক। সেখানেই দলের দুই সাধারণ সম্পাদক রাজেশ কুমার সিং এবং অরূপ দের মধ্যে বাদানুবাদ শুরু হয়। যা দুই গোষ্ঠীর অনুগামীদের মধ্যে হাতাহাতিতে পৌঁছায়।
জানা যায়, বৈঠকে পৌরসভার প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান অরূপ দে অভিযোগ তোলেন পৌরসভার প্রশাসনিক মন্ডলীর ভাইস চেয়ারম্যান রাজেশ কুমার সিং ঠিকঠাক পৌরসভা পরিচালনা করতে পারছেন না। এরপর একাধিক বিষয় নিয়ে শুরু হয়ে যায় অরূপ দে গোষ্ঠী এবং রাজেশ কুমার সিং গোষ্ঠীর মধ্যে বাদানুবাদ এবং হাতাহাতি।
পরবর্তীতে অরূপ দে তাঁর দলবল নিয়ে রাজেশ কুমার সিংহের বাড়িতে চড়াও হয় বলে অভিযোগ। এরপরেই রাজেশের অনুগামী এবং স্থানীয় ব্যবসায়ীরা ব্লকের প্রাক্তন যুব সভাপতি অরূপপন্থী বৈদ্যনাথ কুন্ডুকে ধরে বেদম প্রহার দেয়। বৈদ্যনাথ কুন্ডুও ছুরি নিয়ে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। এই নিয়ে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। খবর পেয়ে ধুপগুড়ি থানার আইসির নেতৃত্বে বিশাল পুলিশবাহিনী ও RAF মোতায়েন করা হয়। রাজেশ কুমার সিংয়ের অনুগামীদের প্রশ্ন, কেন অরূপ দের অনুগামীরা এইভাবে বাড়িতে চড়াও হবে?
যদিও অরূপ দে এই বিষয়ে জানিয়েছেন, "রাজেশ কুমার সিংয়ের বাড়িতে চড়াও হওয়ার অভিযোগ মিথ্যা। একটি বৈঠকে কথা কাটাকাটি হয়েছে। এর পরবর্তী সময়ে রাজেশ কুমার সিংহের ভাই ফোন করে বৈদ্যনাথ কুন্ডুকে দেখা করতে বলে। বৈদ্যনাথ কুন্ডু দেখা করতে তার বাড়িতে গেলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়। এখানে দলের কোনও বিষয় নেই। পরবর্তীতে সমস্যার সমাধান হয়ে যায়।"
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন