প্রত্যাশিতভাবেই রাজ্যের উপনির্বাচনেও সবুজ ঝড়। গত ১০ জুলাই রাজ্যের চার কেন্দ্রে উপনির্বাচন হয়েছিল। শনিবার তার ফলপ্রকাশ হচ্ছে। ইতিমধ্যেই রায়গঞ্জ এবং বাগদা কেন্দ্রে জয়ী হয়েছে তৃণমূল। মানিকতলা, এবং রানাঘাট কেন্দ্রেও এগিয়ে রয়েছে তৃণমূল। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বিজেপি।
নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুসারে মানিকতলা বিধানসভা কেন্দ্রে ৯ রাউন্ড গণনা শেষে ২৮৭৮১ ভোটে এগিয়ে রয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী তথা প্রয়াত সাধন পাণ্ডের স্ত্রী সুপ্তি পাণ্ডে। নবম রাউন্ড শেষে বিজেপি প্রার্থী কল্যাণ চৌবে ভোট পেয়েছেন ৯২৭৩ ভোট। সিপিআইএম প্রার্থী রাজীব মজুমদার পেয়েছেন ৩,৬৬০ ভোট।
রানাঘাট দক্ষিণে ৮ম রাউন্ড শেষে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী মুকুটমণি অধিকারী ৩১,৭৩৭ ভোটে এগিয়ে রয়েছেন। বিজেপি প্রার্থী ৫৫৫৪৮ ভোট পেয়েছেন। ১০৬৮৯ ভোট পেয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছেন সিপিআইএম প্রার্থী অরিন্দম বিশ্বাস।
বাগদা বিধানসভা উপনির্বাচনেও এগিয়ে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল প্রার্থী মধুপর্ণা ঠাকুর একাদশ রাউন্ড গণনার শেষে ৩০ হাজারের বেশি ভোটে এগিয়ে রয়েছেন। দ্বিতীয় স্থানে বিজেপি প্রার্থী বিনয় কুমার বিশ্বাস পেয়েছেন ৬৭৫১৯ ভোট। তৃতীয় স্থানে ফরওয়ার্ড ব্লক প্রার্থী গৌর বিশ্বাস পেয়েছেন ৭৫৯৯ ভোট। এই কেন্দ্রে কংগ্রেস প্রার্থী পেয়েছেন ১,২২২ ভোট।
রায়গঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে দশ রাউন্ড গণনার শেষে ৫০০২৩ ভোটে জিতেছেন তৃণমূল প্রার্থী কৃষ্ণ কল্যাণী। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন বিজেপি প্রার্থী মানস কুমার ঘোষ। তিনি পেয়েছেন ৩৬,৩৪৪ ভোট। তৃতীয় স্থানে কংগ্রেস প্রার্থী মোহিত সেনগুপ্ত পেয়েছেন ২৩,০৬৮ ভোট।
বিরোধীদের অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গের গণতন্ত্র নষ্ট করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এই ফলাফলে পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে প্রতিটি কেন্দ্রে ছাপ্পা মেরে জিতছে তৃণমূল। যদিও তৃণমূলের পাল্টা দাবি, নির্বাচনে ছাপ্পা মারা হয়ে থাকলে কেন্দ্রীয় বাহিনী কী করছিল? ভারতের নির্বাচন কমিশনই বা চুপ কেন তাহলে?
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন