যে ব্যালটবক্সের মাধ্যমে পঞ্চায়েতে সৎ প্রার্থী নির্বাচনের কথা বলেছিলেন অভিষেক ব্যানার্জি, তিনি চলে যেতেই সাহেবগঞ্জ ও গোসানিমারিতে সেই ব্যালট বক্স ভাঙচুর করলেন খোদ তৃণমূল কর্মীরাই। নিজেরাই নিজেদের মধ্যে হাতাহাতিতেও জড়িয়ে পড়েন। এমন অভিযোগই সামনে আসছে। ইতিমধ্যেই ঘটনার বেশ কিছু ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। যদিও এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি পিপলস রিপোর্টার।
আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনকে পাখির চোখ করে নতুন কর্মসূচি 'তৃণমূলে নব জোয়ার'এর প্রথম দিনেই বিপত্তি। মঙ্গলবার সকাল থেকেই কোচবিহারে জনসংযোগ কর্মসূচি শুরু করেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক ব্যানার্জি। তাঁর সভার পরেই গোপন ব্যালটে প্রার্থী নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু হয়। সেই নির্বাচন প্রক্রিয়া ঘিরে তৃণমূলেরই দু'পক্ষের মধ্যে বচসা শুরু হয়ে যায়। ভাঙচুর করা হয় ব্যালট বক্সও।
অভিযোগ, তৃণমূলেরই বেশ কয়েকজন অতিরিক্ত ব্যালট পেপার নিয়ে নিজেদের ইচ্ছামতো নাম লিখে জমা দিচ্ছিলেন। যার ফলে অন্য কেউ ভোট দিতে পারছিলেন না। এর পরেই তৃণমূলের কর্মীরা নিজেদের মধ্যে হাতাহাতি শুরু করে দেন।
সাহেবগঞ্জে দেখা যায় ব্যালট বক্স ভাঙচুর ও সমস্ত ব্যালট পেপার ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে। গোসানিমারিতে অনেকে ব্যালট পেপার ব্যালট বক্সের বদলে অন্যান্য জায়গায় ফেলে দেয়। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।
দলীয় কর্মীদের হাতাহাতি প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তৃণমূল সাংসদ বলেন, মঞ্চের ওপর ব্যালট বক্স রাখা ছিল। কিছু অতি উৎসাহিত মানুষ ভোট দিতে গিয়ে ব্যালট বক্স ভেঙে ফেলেছেন। এই জন্যই আমি নব জোয়ার কর্মসূচি শুরু করেছি। অনেকে ভেবেছিলেন নিজেদের ক্ষমতা দিয়ে প্রার্থী হবেন। কিন্তু আমি তা হতে দেবো না। আগামীকাল ওই এলাকায় আবার র্নিবাচন হবে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করার সময় অভিষেক ব্যানার্জি বলেছিলেন, সকল মানুষ ব্যালটের মাধ্যমে নিজের এলাকায় কে প্রার্থী হবেন তাঁর সমর্থনে ভোট দিতে পারবেন। ভোটে যে জিতবে তাঁকে তৃণমূলের তরফ থেকে টিকিট দেওয়া হবে। কিন্তু কর্মসূচির প্রথম দিনেই এমন অবস্থায় কিছুটা হলেও অস্বস্তিতে শাসক দল।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন