মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘিতে সদ্য নির্বাচিত বাম সমর্থিত কংগ্রেস বিধায়ক বাইরন বিশ্বাসকে কিনতে চাইছে তৃণমূল! বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায় সেরকমই ইঙ্গিত মিলল। স্পিকারের কথায়, বাইরন বিশ্বাস নাকি নিজে বলেছেন তিনি তৃণমূলেরই একজন। 'নিরপেক্ষ' স্পিকার কীভাবে প্রকাশ্যে এই ধরণের মন্তব্য করতে পারেন তা নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে।
এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "সংখ্যালঘু ভোট তৃণমূল থেকে দূরে সরে গিয়েছে বলে আমার মনে হয় না। সাগরদিঘি উপনির্বাচন একটি বিক্ষিপ্ত ঘটনা ছিল। বিধায়ক তো নিজেই বলেছেন তিনি তৃণমূলের লোক এবং তৃণমূলের ভোটেই জিতেছেন। আমাদের প্রার্থী নির্বাচনে হয়তো কোনও ত্রুটি ছিল। তবে তিনি তৃণমূলে যোগ দেবেন কিনা, সেটা আমি বলতে পারব না। সেটা তাঁর ব্যক্তিগত ব্যাপার।"
এই প্রসঙ্গে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেন, "বিধানসভার স্পিকারকে নিরপেক্ষ থাকা দরকার। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে তিনি তৃণমূলের মুখপাত্রে পরিণত হয়েছেন।"
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সাগরদিঘি উপনির্বাচনের প্রথম থেকেই বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থীকে নিয়ে তৃণমূল একাধিক কটাক্ষ করেছিল। এমনকি তৃণমূল সাংসদ অভিষেক ব্যানার্জির মুখে শোনা গিয়েছিল বাইরন বিশ্বাস জেতার পর বিজেপিতে যোগ দেবেন। ফল প্রকাশের পর কংগ্রেস প্রার্থী অবশ্য বলেন, তিনি যে প্রতীকে লড়েছেন সেই প্রতীকেই থাকবেন। কিন্তু শনিবার বিধানসভায় গিয়ে বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করার পর হঠাৎ তাঁর এহেন মন্তব্যে শুরু হয়েছে জল্পনা।
বলে রাখা ভালো উপনির্বাচনে ৪৭.৩৫ শতাংশ ভোট পেয়েছে বাইরন বিশ্বাস। তৃণমূল পেয়েছে ৩৪.৯৩ শতাংশ ভোট। বিজেপি পেয়েছে ১৩.৯৪ শতাংশ ভোট। ২০২১-র বিধানসভার নিরিখে তৃণমূলের ভোট কমেছে প্রায় ১৬ শতাংশ। বিজেপিরও ১০ শতাংশের বেশি ভোট কমেছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন