রাতের অন্ধকারে আগ্নেয়াস্ত্রের ভয় দেখিয়ে চার জয়ী বিরোধী সদস্যকে অপরহরণ করা হয়েছে খাস কলকাতায়। এমনই অভিযোগ করছেন সিপিআইএম নেতা কান্তি গাঙ্গুলি। ইতিমধ্যে পঞ্চসায়র থানায় লিখিত অভিযোগও দায়ের করেছেন তিনি। হাইকোর্টেও যেতে পারেন কান্তি গাঙ্গুলি।
পঞ্চায়েত ভোটের আঁচ এবার এসে পড়লো খোদ কলকাতায়। পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনের জন্য রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বিরোধী প্রার্থীদের ওপর চাপ সৃষ্টি করার একাধিক অভিযোগ সামনে আসছে। এরই মধ্যে অপহরণের ঘটনা সামনে এসেছে। কান্তি গাঙ্গুলির অভিযোগ, বাইপাস সংলগ্ন একটি গেস্ট হাউস (পিয়ারলেস হাসপাতালের কাছে) থেকে তিন বিজেপি ও একজন বাম সমর্থিত নির্দল সদস্যকে ভয় দেখিয়ে অপহরণ করা হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজেও তার প্রমাণ রয়েছে। তাঁদের কোথায় রাখা হয়েছে এখনও জানা যায়নি।
তিনি আরও বলেন, আজই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হবো। ৩ বিরোধী প্রার্থী ও ১ নির্দল প্রার্থীর রক্ষাকবচের আবেদন জানাবো। রাতে অভিযোগ করলাম। পুলিশ বললো সকালে ঘটনাস্থলে যাবো।
মথুরাপুর ব্লকের কৃষ্ণচন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে ১৫টি আসনের মধ্যে মাত্র ৪টিতে জয় পায় শাসক দল তৃণমূল। বিজেপি জিতেছে ৬টি, সিপিআইএম ৩টি এবং নির্দল জিতেছে ২টি আসন। পঞ্চায়েত দখলের জন্য তৃণমূলের প্রয়োজন আরও ৪টি আসন। বিরোধীদের অভিযোগ, তৃণমূল বোর্ড গঠনের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। ক্রমাগত বিরোধী প্রার্থীদের হুমকি ও ভয় দেখাচ্ছে। সেই আতঙ্কেই গেস্ট হাউসে আশ্রয় নিয়েছিলেন প্রার্থীরা।
এক প্রার্থী বলেন, গতকাল রাতে প্রাক্তন প্রধানের নেতৃত্বে গাড়ি করে বেশ কয়েকজন তৃণমূলের দুষ্কৃতী এসেছিল। আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে চারজনকে তুলে নিয়ে যায়। বাকিরা ছাদে লুকিয়ে পড়ায় ধরতে পারেনি।
গেস্ট হাউসের মালিকের বক্তব্য, বিয়ের কারণ দেখিয়ে বাড়ি ভাড়া নেওয়া হয়েছিল। এর বেশি কিছু জানি না। তবে রাতে প্রচন্ড চিৎকার শোনা যাচ্ছিল। উঠে দেখি কয়েকজন লোক গাড়ি করে চারজনকে তুলে নিয়ে চলে গেল।
যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। তাদের দাবি, সিপিআইএম বা বিজেপি নিজেদের প্রার্থীদের ধরে রাখতে পারছে না। কাউকে অপহরণ করা হয়নি। যদি কেউ আসে তাহলে নিজের ইচ্ছায় আসবে। কোনো হুমকি বা ভয় দেখানো হয়নি। মিথ্যা অভিযোগ করছে বিরোধীরা।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন