এতদিন বিজেপির দুই সাংসদ বাংলা ভাগের দাবি জানাচ্ছিলেন। এবার প্রকারান্তরে সেই দাবিকে সমর্থন করলেন খোদ তৃণমূল নেতা। উত্তরবঙ্গকে আলাদা রাজ্য করার দাবি জানিয়েছিলেন দুই সাংসদ। এবার বংশীবদন বর্মন বাংলা ভেঙে গ্রেটার কোচবিহারকে আলাদা রাজ্য করার দাবি জানিয়েছেন। তাঁর দাবির সঙ্গে সহমত পোষণ করেছেন তৃণমূলের এসটি-এসসি সেলের সাধারণ সম্পাদক রাজেশ লকরা ওরফে টাইগার।
পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের চারটি জেলার স্বায়ত্তশাসনের দাবিও জানিয়েছেন তিনি। এই চারটি জেলা হল দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহার। যদিও দলীয় উপজাতি নেতার দাবিকে গুরুত্ব দিতে চাননি রাজ্যের অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ ও আদিবাসী উন্নয়ন দফতরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী বুলু চিক বড়াইক।
তৃণমূলের এসটি-এসসি সেলের সাধারণ সম্পাদক রাজেশ লকরা বলেছেন, '২০২০ সালের ২৮ ডিসেম্বর যখন তৃণমূলে যোগদান করি তখনও আমার দাবি ছিল উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ার জেলাকে পঞ্চম তফশিলের আওতায় এনে স্বায়ত্তশাসন ঘোষণার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কাগজে প্রায় ৯০ শতাংশ কাজ করেই দিয়েছেন। বাকি সাংবিধানিক রূপের জন্য দরকার জেলার একটা এরিয়া ডিমারকেশনের।' সেই সাংবিধানিক স্বীকৃতি মিললেই আদিবাসীরা আর সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবেন না বলে দাবি করেন তিনি।
বিশ্ব আদিবাসী দিবস উপলক্ষে পৃথক গ্রেটার কোচবিহার রাজ্যের দাবিতে সরব হয়েছেন বংশীবদন বর্মন। তাঁকে সমর্থন করে রাজেশ লকরা বলেন, 'বংশীবদনবাবুকে বলেছি আমরা দু'জনেই ভূমিপূত্র। আমরা দু'জনে একত্রিতভাবেই লড়াই করে নিজেদের দাবি আদায় করব। আমি পৃথক গ্রেটার কোচবিহার রাজ্যের দাবিকে সমর্থন করছি।' তাঁর দাবি, সংবিধানগত ভাবে প্রাপ্যটুকুই চাইছেন।
তাহলে বিজেপি সাংসদ জন বার্লাকেই সমর্থন করেন রাজেশ? এখানে আবার তাঁর সাফ জবাব, উত্তরবঙ্গ আলাদা রাজ্য। উনি রাজনীতি করার জন্য এবং ভোটের জন্য মানুষকে বিভ্রান্ত করছেন। উনি গ্রেটার কোচবিহার কেন বলছেন না? স্বায়ত্বশাসন কেন বলছেন না? প্রশ্ন তাঁর। তবে এই দাবিতে অস্বস্তিতে তৃণমূল।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন