ফের গুলি চলল মুর্শিদাবাদে। মঙ্গলবার রাতে রানীনগরে বাড়ি ফেরার পথে খুন হয়েছেন এক তৃণমূল নেতা। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এই খুনকান্ডে যুক্ত থাকার অভিযোগে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য সহ ৩ জন গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযোগ উঠেছে, গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের জেরেই খুন হতে হয়েছে তৃণমূলের ব্লক সাধারণ সম্পাদক আলতাব আলিকে।
জানা যাচ্ছে, মঙ্গলবারই লোচনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূলের নতুন প্রধান নির্বাচন ছিল। সেখানেই প্রধান নির্বাচিত হন আলতাব-ঘনিষ্ঠ সোনালি বিবি। তারপরই বাড়ি ফেরার পথে আলতাব আলিকে লক্ষ্য করে গুলি করা হয়। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মুর্শিদাবাদ মেডিক্যালে নিয়ে যাওয়া হয়। বুধবার সকালে তাঁর মৃত্যু হয়।
সূত্রের খবর, দীর্ঘদিন ধরেই রাজনৈতিক অচলবস্থা চলছে লোচনপুর পঞ্চায়েত এলাকায়। লোচনপুর পঞ্চায়েতে মোট ১৭ জন সদস্য। গত বছরের মার্চে তাঁদের মধ্যে ৯ জন অনাস্থা প্রস্তাব আনে প্রধানের বিরুদ্ধে। পরবর্তীতে সেই অনস্থা ভোটে অপসারিত হয় তৎকালীন প্রধান। তারপর থেকে প্রধানহীন অবস্থায় পড়ে ছিল লোচনপুর গ্রাম পঞ্চায়েত।
শেষে হাইকোর্টের নির্দেশে মঙ্গলবার পঞ্চায়েতের নতুন প্রধান বাছাইয়ের দিনক্ষণ স্থির হয়। সেই মতো ১৭ সদস্যদের উপস্থিতিতে ভোটাভুটি হয়। প্রাক্তন প্রধান সিনারা বিবির বিরুদ্ধে ১১ জন সদস্য ভোট দেন। অনাস্থা ভোটে জিতে নতুন প্রধান হন সোনালি বিবি। জানা যাচ্ছে, গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত তৃণমূল নেতাও নতুন প্রধানকেই সমর্থন করেছিলেন। আর, তারপরেই বাড়ি ফেরার পথে গুলিবিদ্ধ হল তৃণমূল নেতা আলতাব আলি।
জানা গিয়েছে, আলতাব আলি আগে সিপিআইএম-র প্রধান থাকলেও পরবর্তীকালে তৃণমূল দলে যোগদান করেন। তৃণমূল নেতা হিসাবেই গ্রামে পরিচিত। শিশু শিক্ষা কেন্দ্রের শিক্ষকতা করতেন আলতাব। তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে এই গুলি বলে অভিযোগ বিরোধীদের।
এ নিয়ে বহরমপুর পুলিশ জেলার সুপার সুরিন্দর সিংহ বলেন, 'ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু হয়েছে। কয়েক জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।'
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন