বগটুই গণহত্যার বর্ষপূর্তিতেও রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে। বগটুইতে স্বজনহারা বানিরুলের বাড়িতে ঢুকতে দেওয়া হলো না তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্য বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার আশীষ বন্দ্যোপাধ্যায়কে। পাশাপাশি বিধায়ক ওই স্থান ছেড়ে চলে যেতেই রাস্তা শুদ্ধিকরণ করেন স্থানীয়দের একাংশ।
২০২২ সালের আজকের দিনেই বীরভূমের রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে ১০ জনকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠেছিল। আজ নিহতদের স্মরণ করার জন্য বিজেপি ও তৃণমূল উভয়ের পক্ষ থেকেই শহিদ বেদী তৈরি করা হয়। স্বজনহারা বানিরুল শেখের বাড়িতে প্রবেশ করতে চান আশিষ ব্যানার্জি সহ তৃণমূলের প্রতিনিধিরা। ঘটনার সূত্রপাত তখনই। বানিরুলের বাড়ির ভিতর থেকে বলা হয় অন্যরা প্রবেশ করতে পারলেও আশীষ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রবেশ করতে পারবেন না। এখানে তাঁকে ঢুকতে দেওয়া হবে না। সাথে সাথেই বাড়ির গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়।
যদিও তৃণমূল বিধায়কের দাবি, তিনি বানিরুলের বাড়িতেই যাননি। অন্যরা গিয়েছিলেন। তিনি মঞ্চেই অপেক্ষা করছিলেন। তৃণমূলের একাংশের দাবি, যা ক্ষোভ ছিল, মিটে গেছে। কিন্তু কেন ক্ষোভ তৈরি হয়েছে তার যথার্থ উত্তর দিতে পারেননি কেউই।
অন্যদিকে বগটুই ঘটনার স্মরণে সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের নেতৃত্বে বগটুইতে মৌন মিছিল করে বামেরা। তিনি বলেন, "আমরা বগটুইয়ের উদ্দেশ্যে যখন মিছিল করে যাচ্ছি তখন দেখছি রাস্তার দুদিকে পিসি-ভাইপোর ছবি লাগানো হয়েছে। আমি বুঝলাম না এখানে খেলা হচ্ছে না মেলা হচ্ছে। তৃণমূল নেতাদের কি বুদ্ধি নেই? এটা কোনো আনন্দ উৎসব নয়।"
তিনি আরও বলেন, "এখন অনুব্রত গেছে দিল্লিতে। মমতা ব্যানার্জি পুরীর মন্দিরে পুজো দিয়ে দিল্লিতে যাবেন মোদীর মন্দিরে। যাতে ওকে (অনুব্রত মণ্ডল) ফেরত নিয়ে আসা যায়। নয়তো পঞ্চায়েত নির্বাচন করা যাবে না। এটাই হচ্ছে সেটিং।"
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত বছরের ২১ মার্চ বীরভূমের রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে তৃণমূল কংগ্রেসের উপপ্রধান ভাদু শেখ দুষ্কৃতীদের ছোঁড়া বোমার আঘাতে নিহত হন। সেই খুনের বদলা নিতে কুপিয়ে ও পুড়িয়ে খুন করা হয় আরও দশ জনকে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন