তৃণমূল বিধায়ক হামিদুর রহমানের একের পর এক বিস্ফোরক মন্তব্যে উত্তাল উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়া। বুধবার চোপড়া বিধানসভার গোবিন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভদ্রকালী বাজার এলাকায় সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তৃণমুল বিধায়ক পুলিশকে মারধর করার নিদান দিলেন, অন্যদিকে দলীয় কোন্দল প্রকাশ্যে আনলেন।
কী বলেছেন হামিদুর? ফাঁড়িতে ঢুকে এক পুলিশ আধিকারিককে বেঁধে রেখে শুধরে দেবেন তিনি। প্রকাশ্য জনসভায় এমন নিদান দিয়েছেন তিনি। জনসভার পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরেও তিনি বলেন, পুলিশ আধিকারিক পিন্টু বর্মনকে ঈদের পরে বেঁধে রেখে শুধরে দেবেন তিনি। শুধু তাই নয়, দলের অন্তর্কোন্দল প্রকাশ্যে এনে তৃণমূলের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগারওয়ালাকে পক্ষপাতদুষ্ট বলে নিশানা করেন হামিদুর। বিধায়কের অভিযোগ, জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল কানে তেল মেখে রাখেন। তিনি কিছুই শুনতে পান না। পুলিশকে তাঁর শিক্ষা দেওয়ার নিদানে হাততালির ঝড় বয় সভাস্থলে। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যদেরও পুলিশের সঙ্গী হিসাবে চিহ্নিত করেন তিনি।
এনিয়ে গোবিন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মহাম্মদ রাইসুদ্দিনের পাল্টা অভিযোগ, চোপড়া থানা এলাকায় বিধায়কের অঙ্গুলিহেলনে সব কাজ হয়। কিন্তু তিনি তাঁর বিধানসভা এলাকা ইসলামপুর থানার গোবিন্দপুরে তেমন কিছু করতে পারছেন না। তাই বহিরাগতদের এনে সভা করছেন। আর এসব কথা বলছেন। পুলিশ এতদিন বিধায়কের কথায় চলেছে। দোষীদের ধরেনি। তাই পুলিশকে এসব কথা শুনতে হল।
কিন্তু কেন এমন বললেন তৃণমূল বিধায়ক? স্থানীয় সূত্রের খবর, পুলিশের বিরুদ্ধে মুখ খোলার নেপথ্যে রয়েছে জমি সংক্রান্ত বিবাদ। ওই বিবাদের একদিকে রয়েছে হামিদুল রহমানের গোষ্ঠী। অন্যদিকে কানইয়ালালের গোষ্ঠী। পুলিশ হামিদুলের কথামতো কাজ করেনি বলেই ক্ষুব্ধ বিধায়ক। তাই হুমকি দিয়ে পুলিশকে শুধরে দেওয়ার দায়িত্ব নিজের কাঁধেই তুলে নিয়েছেন তিনি। এমনটা মনে করছে জেলার রাজনৈতিক মহলও।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন