প্রয়াত হলেন বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদ হাজি নুরুল ইসলাম। দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন তিনি। বুধবার নিজের বাড়িতেই মারা যান তৃণমূল সাংসদ।
যকৃতের ক্যান্সার নিয়েই নির্বাচন লড়েছিলেন। জিতেওছিলেন তিনি। আজ দুপুরে তিনি প্রয়াত হন। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৬১ বছর।
দলীয় সাংসদের মৃত্যুতে শোকজ্ঞাপন করেছেন মমতা ব্যানার্জী থেকে শুরু করে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক ব্যানার্জী। এক্স মাধ্যমে মমতা ব্যানার্জী লেখেন, "আমার শ্রদ্ধেয় সহকর্মী, বসিরহাটের সাংসদ হাজি শেখ নুরুল ইসলামের প্রয়াণে আমি দুঃখিত। তিনি প্রত্যন্ত সুন্দরবন এলাকার একজন নিবেদিতপ্রাণ সমাজসেবক ছিলেন এবং তিনি একটি অনগ্রসর অঞ্চলের দরিদ্র মানুষের উন্নতির জন্য কঠোর পরিশ্রম করেছিলেন। বসিরহাটের মানুষ তাঁর নেতৃত্বের অভাববোধ করবে"।
অভিষেক ব্যানার্জী লেখেন, ''আমাদের বসিরহাটের লোকসভা সাংসদ হাজি নুরুল ইসলামের মৃত্যুর খবর শুনে আমি গভীরভাবে দুঃখিত। জীবনের শেষ দিনগুলিতেও তিনি মানুষের সেবা ও রক্ষা করার জন্য কাজ করে গেছেন। তাঁর পরিবারের প্রতি আমার আন্তরিক সমবেদনা জানাই এবং আমি তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করি।''
প্রসঙ্গত, চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনের সময়ই অসুস্থ ছিলেন হাজি নুরুল ইসলাম। তা সত্ত্বেও তাঁর উপর ভরসা করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্র থেকে প্রথম নির্বাচনে লড়াই করেন ২০০৯ সালে। ওই বছর ৪৫%-র বেশি ভোট পেয়ে তৃণমূলের টিকিটে জয়ী হয়েছিলেন হাজি নুরুল। প্রায় ৬০ হাজার ভোটে হারান সিপিআই প্রার্থী অজয় চক্রবর্তীকে। পরের লোকসভাতে অবশ্য দল তাঁকে বসিরহাট থেকে প্রার্থী করেনি।
২০১৪ সালে জঙ্গিপুর থেকে প্রার্থী হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু কংগ্রেস প্রার্থী অভিজিৎ মুখার্জির কাছে পরাজিত হন তিনি। প্রায় ১৯% ভোট পেয়ে তৃতীয় স্থানে দৌড় থেমে যায় তাঁর। ২০১৬ সালে তৃণমূলের টিকিটে হাড়োয়া বিধানসভা থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন হাজি নুরুল। পর পর দু'বার বিধায়ক নির্বাচিত হন তিনি। ২০২৪ এ সাংসদ হওয়ার পর ওই বিধানসভায় কোনও বিধায়ক নেই।
২০২৪ লোকসভাতে ফের তাঁকে টিকিট দেওয়া হয়। প্রায় ৫৩% ভোট পেয়ে নির্বাচনে জয়ী হন। বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্রকে ৩ লক্ষের বেশি ব্যবধানে পরাজিত করেছিলেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন