দক্ষিণ ২৪ পরগনার পর এবার উত্তর ২৪ পরগনা। ফের দুষ্কৃতি হামলায় খুন শাসক নেতা। নিহতের নাম মহম্মদ রূপচাঁদ মণ্ডল। তিনি আমডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান। খুনের পেছনে রাজনৈতিক কারণ নাকি ব্যক্তিগত শত্রুতা রয়েছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
ঘটনার সূত্রপাত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়। সেই সময় আমডাঙার একটি হাটে গিয়েছিলেন রূপচাঁদ মণ্ডল। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধান গাড়ি থেকে নামতেই তাঁকে লক্ষ্য করে বোমা ছুঁড়তে থাকে বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতি। বোমার আঘাতে গুরুতর জখম হন রূপচাঁদ মণ্ডল। দ্রুত তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় আমডাঙা গ্রামীণ হাসপাতালে। তারপর অবস্থার অবনতি হলে নিয়ে যাওয়া হয় বারাসতের এক বেসরকারি হাসপাতালে। কিন্তু শেষরক্ষা হলো না। হাসপাতালেই মৃত্যু হয় তাঁর। এরপরই এলাকা রীতিমতো উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। বন্ধ হয়ে যায় ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক লাগোয়া কামদেবপুরহাট। জাতীয় সড়কেও যান চলাচল স্তব্ধ হয়ে যায়।
কিন্তু ঠিক কী কারণে তৃণমূল নেতাকে খুন করা হলো তা এখনও স্পষ্ট নয়। সূত্রের খবর, গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেও খুন হতে পারেন তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধান। কারণ চলতি বছর হওয়া পঞ্চায়েত নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধন্তের বিরুদ্ধে গিয়ে প্রার্থী হয়েছিলেন তিনি। রূপচাঁদের বিরুদ্ধে ১০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে প্রার্থীপদ কেনার অভিযোগ উঠেছিল। এমনকি জয়ী হওয়ার পরও দলের সিদ্ধান্ত মানেননি তিনি। দলীয় হুইপ অস্বীকার করে প্রধান হয়েছেন তিনি।
পুলিশ জানিয়েছে, তৃণমূল নেতাকে বোমা মেরেই এলাকা ছেড়ে পালায় ওই দুষ্কৃতিরা। প্রাথমিক অনুমান দুষ্কৃতিরা আগে থেকেই জানতো এই হাটে রূপচাঁদ মণ্ডল আসবেন। পুরো পরিকল্পনা করে খুন করা হয়েছে। এই ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্ত চলছে। খুব শীঘ্রই বাকি অপরাধীদের ধরা হবে।
ঘটনাস্থল থেকে ৩-৫টি বোমা উদ্ধার হয়েছে। তৃণমূল প্রধানের ভাই লালচাঁদ মণ্ডলের দাবি, কোনও রাজনৈতিক কারণ নয়, ব্যক্তিগত শত্রুতার শিকার হয়েছেন রূপচাঁদ।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগর এলাকায় গুলি করে খুন করা হয় তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি সাইফুদ্দিন লস্করকে। এই ঘটনায় ৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ। ধৃতের মধ্যে একজন সিপিআইএম সমর্থক বলেই অনেকে দাবি করছেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন