পৃথক গোর্খাল্যান্ডের দাবি জিটিএ-র প্রথম সাধারণ সভাতেই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। সেই প্রস্তাব সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীতও হয়েছে। পাঁচ তৃণমূল সদস্যও প্রস্তাবে সায় দিয়েছে। এই সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সিপিআইএম।
সোমবার জিটিএ-র সাধারণ সভার আয়োজন করা হয়। তাতে ৫৫টি প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়। এই প্রস্তাবগুলির মধ্যে প্রথম প্রস্তাবই ছিল পাহাড়কে পশ্চিমবঙ্গ থেকে আলাদা করে নতুন রাজ্য গোর্খাল্যান্ড তৈরি করার আলোচনা। তার সমর্থন করেছে জিটিএ-র অন্তর্ভুক্ত পাঁচ তৃণমূল সদস্য। এর পাশাপাশি ওই প্রস্তাব সমর্থন করেছে অজয় এডওয়ার্ডের হামরো পার্টির সাত সদস্য।
সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, যাঁরা ওই প্রস্তাব সমর্থন করেন তাঁরা সকলেই মুখ্যমন্ত্রীর স্নেহধন্য। আসলে গোর্খাল্যান্ডের দাবি মমতাই উস্কে দিয়েছেন। সেই উস্কানির সুযোগ দিচ্ছে বিজেপি। কখনও বিমল গুরুং, কখনও বিনয় তামাং বা অনীত থাপা কার্যত চেষ্টা করছেন অশান্ত পাহাড় তৈরি করার। রাজনীতির খেলা খেলতে গিয়ে বাংলার সর্বনাশ করছে এরা। গোর্খাল্যান্ডের দায় মুখ্যমন্ত্রীর। পাশাপাশি বিজেপিকেও এই একই দায় নিতে হবে।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই তৃণমূল সাংসদ অভিষেক ব্যানার্জী বলেছিলেন, উত্তরবঙ্গ বা দক্ষিণবঙ্গ বলে কিছু নেই। একটাই বঙ্গ সেটা পশ্চিমবঙ্গ। শিলিগুড়ি পৌরসভার প্রাক্তন মেয়র তথা সিপিআইএম নেতা আশোক ভট্টাচার্য বলেন, তৃণমূলের কোনো নীতি নেই। সবই বোঝাপড়া করতে ব্যস্ত। মমতা ব্যানার্জী নিজে এসেছিলেন জিটিএ-র শপথে। আর সেই জিটিএ-র প্রথম সাধারণ সভা থেকে এই ধরণের প্রস্তাব আনা হচ্ছে। মমতার এই ধরণের রাজনীতির জন্য পাহাড়ের মানুষ ক্ষতির সম্মুখীন হবেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন