এক দশক পর ফের গোয়ার বিধানসভা নির্বাচনে ঘাসফুলের প্রতীকে কোনও প্রার্থী লড়তে চলেছেন। সূত্রের খবর, দলের শীর্ষ নেতৃত্ব সপ্তাহ খানেকের মধ্যেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। রাজ্যসভায় তৃণমূলের দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন ও লোকসভার সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়কে বৃহস্পতিবার গোয়ায় যান। তাঁরা ফিরে দলকে রিপোর্ট দিলে তার ভিত্তিতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। অবশ্য তার আগে ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের সংস্থার লোকেরাও গোয়ার পরিস্থিতি যাচাই করে এসেছেন।
কংগ্রেস নেতাদের অভিযোগ, ত্রিপুরা, মেঘালয়-সহ উত্তর-পূর্বের বিভিন্ন রাজ্যের পরে এবার গোয়াতেও তৃণমূল নেতাদেরই ভাঙিয়ে নেওয়ার কৌশল নিচ্ছে। কংগ্রেস সূত্রে বলা হচ্ছে, এবার তৃণমূল নেতারা গোয়ায় গিয়ে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও কংগ্রেসের বিধায়ক লুইজিনহো ফেলেরিওর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছেন। গোয়াতে ভোটে লড়বে আম আদমি পার্টিও।
কংগ্রেস মনে করছে, আপ ও তৃণমূল বিজেপিরই সুবিধা করে দিতে চাইছে। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা লোকসভার দলনেতা অধীর চৌধুরী বলেন, ‘আপ ও তৃণমূলের লক্ষ্য যেখানেই বিজেপির সঙ্গে কংগ্রেসের সরাসরি লড়াই, সেখানে সব ঘেঁটে দেওয়া। বিরোধী ঐক্য মজবুত হলে বিজেপির বিপদ বাড়বে। কিন্তু তার বদলে আপ ও তৃণমূল বিজেপির সুপারি নিয়ে মাঠে নেমেছে।’
তাৎপর্যপূর্ণ হল, গোয়ায় বিজেপি সরকারের মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাবন্ত তাঁর রাজ্যে আপ ও তৃণমূলের ভোটে লড়ার পরিকল্পনাকে স্বাগত জানিয়েছেন। ২০১২-তে তৃণমূল গোয়ার বিধানসভা ভোটে লড়েছিল। কংগ্রেসের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উইলফ্রেড ডি’সুজার নেতৃত্বে তৃণমূল সেবার ৪০ আসনের বিধানসভায় ২০টি আসনে প্রার্থী দিয়ে ২ শতাংশ ভোট পেয়েছিল।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০১৭-র বিধানসভা ভোটে বিজেপি বনাম কংগ্রেসের লড়াইয়ে কংগ্রেসই বেশি আসন পেয়েছিল। কিন্তু বিজেপি আঞ্চলিক দলের সঙ্গে হাত মিলিয়ে সরকার গড়ে। তৃণমূল পঞ্জাবে লড়বে কি না, তা নিয়েও জল্পনা রয়েছে। পঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরেন্দ্র সিংয়ের দিকেও তৃণমূলের নজর রয়েছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন