দীর্ঘ টালবাহানার পর রানিনগর-২ পঞ্চায়েত সমিতির দখল নিল তৃণমূল কংগ্রেস। বাম-কংগ্রেস জোটকে ২২-১৮ ব্যবধানে হারিয়ে জয়ী হয় শাসক দল।
এর আগে পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠনে স্থগিতাদেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। কিন্তু তৃণমূলের দাবি ছিল তারা সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে অর্থাৎ বোর্ড তাদের দখলে যাওয়ার কথা। সোমবার ফের বোর্ড গঠনের জন্য ভোটাভুটি হয়। নির্বাচনে তৃণমূল পায় ২২টি ভোট এবং বাম-কংগ্রেস জোট পায় ১৮টি। ফলে পঞ্চায়েত সমিতির দখল নিল তৃণমূল।
বাম-কংগ্রেসের অভিযোগ, বিরোধী দলের সদস্যদের ভয় দেখিয়ে ভোট আদায় করেছে তৃণমূল। এক সদস্যকে অপহরণও করেছিল তৃণমূল। স্বচ্ছভাবে বোর্ড গঠন হলে তৃণমূল কোনওভাবেই জিততে পারতো না।
যদিও বাম-কংগ্রেসের অভিযোগকে গুরুত্ব দিতে নারাজ স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক সৌমিক হোসেন। তিনি বলেন, "আমরা কাউকে ভয় দেখায়নি। যার ইচ্ছা হয়েছে সে তৃণমূলে এসেছে। আমরা যদি প্রভাব খাটাতাম তাহলে ৩০-১০ ব্যবধানে জিততে পারতাম। কিন্তু সেটা আমরা করিনি।"
প্রসঙ্গত, ২৭ আসন বিশিষ্ট রানিনগর-২ পঞ্চায়েত সমিতিতে এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে কংগ্রেস-বাম জোট ১৪ টি এবং তৃণমূল ১৩ টি আসনে জয় লাভ করে। এরপর ভোটাভুটিতে কংগ্রেসের কুদ্দুস আলী ওই পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হন। সেই সময় স্থায়ী সমিতি গঠনের ভোটাভুটিতে মোট ৪২ জনের ভোটাধিকার ছিল তবে বিরোধী দলের কেউ ভোটাভুটিতে অংশগ্রহণ করেননি। ২২ জন প্রতিনিধির উপস্থিতিতে স্থায়ী সমিতি গঠন করা হয়। ন'টি স্থায়ী সমিতিই তৃণমূল কংগ্রেস দখল করেছিল। কিন্তু হাইকোর্ট স্থায়ী সমিতি গঠনের প্রক্রিয়ায় স্থগিতাদেশ জারি করে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন