হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর নিকটতম বিজেপি প্রার্থীকে হারিয়ে ধূপগুড়ি উপনির্বাচনে জয়ী হলো তৃণমূল। বিজেপি প্রার্থী তাপসী রায়কে ৪,৩১৩ ভোটে হারালেন তৃণমূল প্রার্থী নির্মলচন্দ্র রায়। ২০২১ সালে এই আসনেই হারতে হয়েছিল তৃণমূলকে।
ধূপগুড়ি উপনির্বাচনের শুরু থেকেই বিজেপির দিকে পাল্লা ভারী ছিল। পোস্টাল ব্যালট গণনার শেষে বিজেপি প্রার্থী এগিয়ে ছিলেন ১৬০০ ভোটে। তৃতীয় রাউন্ড থেকে গণনায় এগিয়ে যান তৃণমূল প্রার্থী। তারপর প্রতিটি রাউন্ডের শেষে তিনিই এগিয়ে যাচ্ছিলেন। অবশেষে বিজেপি প্রার্থীকে ৪৩১৩ ভোটে পরাজিত করলেন তৃণমূল প্রার্থী। এই উপনির্বাচনে প্রায় ৬.৫ শতাংশের কিছু বেশি ভোট পেয়েছেন কংগ্রেস সমর্থিত সিপিআইএম প্রার্থী ঈশ্বরচন্দ্র রায়।
নির্বাচন কমিশন থেকে প্রাপ্ত সর্বশেষ তথ্য অনুসারে ধুপগুড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে জয়ী তৃণমূল প্রার্থী পেয়েছেন ৯৬,৯৬১টি ভোট। বিজেপি প্রার্থী পেয়েছেন ৯২,৬৪৮ এবং সিপিআইএম প্রার্থীর মোট প্রাপ্ত ভোট ১৩৬৬৬টি। জয়ের থেকে অনেক দূরে থাকলেও সামান্য কিছু ভোট বেড়েছে বামেদের।
উপ-নির্বাচনে পরাজয়ের পর বিজেপি প্রার্থী বলেন, "অভিষেক ব্যানার্জি নির্বাচনের আগে ধূপগুড়ি মহকুমা বানানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। মানুষ সেই আশ্বাসেই তৃণমূলকে জিতিয়েছেন। তবে আমাদের লড়াই জারি থাকবে।"
উপনির্বাচনের ফল দেখে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরি বলেন, "আমরা একবারও বলিনি যে আমরা জিতবো। সেখানে কংগ্রেসের সংগঠন খুবই দুর্বল। বামেদের সাংগঠনিক শক্তিও কিছুটা কম। সেই কারণে এই ফলাফল। আমরা জানতাম আমরা হারবো। কিন্তু বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কাউকে জিততে দেওয়া যায় না"।
প্রসঙ্গত, বিজেপি বিধায়ক বিষ্ণুপদ রায়ের মৃত্যুর কারণে আসনটিতে উপনির্বাচন হয়। ২০২১-র বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি জিতেছিল ৪,৩৫৫ ভোটে। মোট ভোট পেয়েছিল ৪৫.৬৫ শতাংশ। তৃণমূল পেয়েছিল ৪৩.৭৫ শতাংশ। বামেরা পেয়েছিল ৫.৭৩ শতাংশ।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন