পঞ্চায়েতের মনোনয়নকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল ভাঙড়। দুই তৃণমূল কর্মী ও এক আইএসএফ কর্মীর মৃত্যু পর্যন্ত হয়। সেই ভাঙড়েই পঞ্চায়েত সমিতির ১৪টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছে তৃণমূল।
রাজ্যে সবথেকে স্পর্শকাতর এলাকাগুলির মধ্যে ভাঙড় অন্যতম। মনোয়ন জয়াম শেষ দিনে দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়ায় ভাঙর ২ ব্লকে। আইএসএফ-র অভিযোগ, আরাবুল ইসলাম, শওকত মোল্লার নির্দেশে কয়েক হাজার তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতিরা তাদের ওপর ব্যাপক বোমাবাজি করে। গুলিও চলায়। গুলিতেই প্রাণ যায় এক আইএসএফ কর্মীর। সেখানেই ৩০টি পঞ্চায়েত সমিতির আসনের মধ্যে ১৪টিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছে তৃণমূল।
আইএসএফ ও বামেদের অভিযোগ, তাঁদের একাধিক প্রার্থীর নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে বাতিল করা হয়েছে। হাইকোর্টের নির্দেশে মনোনয়ন জমা দিতে গেলেও তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতিরা তাঁদের আটকে রাখে। নির্ধারিত সময় পেরিয়ে যাওয়ার পর বিডিও-র অনুমতিতে মনোনয়ন জমা দেন। সেই মনোনয়নগুলি বাতিল করেছে কমিশন। যার জেরে পঞ্চায়েত সমিতির ১৪টি আসনে জয় পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।
ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি বলেন, বেছে বেছে আইএসএফ ও বাম প্রার্থীদের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। এর বিরুদ্ধে আমরা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছি। ব্যাপক সন্ত্রাসের ফলে আমাদের প্রার্থীরা নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে মনোনয়ন জমা দিতে ব্যর্থ হয়।
ভাঙড়ের এক সিপিআইএম প্রার্থী (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) পিপলস রিপোর্টারকে জানান, মনোনয়ন জমার দিনে আমাদেরকে চারিদিক দিয়ে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতিরা ঘিরে ফেলেছিল। তাদের হাত থেকে কীভাবে বেঁচে ফিরেছি আমারাই জানি। আমরা দৌড়াতে দৌড়াতে বিডিও অফিসে যাই। প্রথমে বলেছিল আমরা মনোনয়ন জমা দিতে পারব না। কিন্তু আমরা প্রতিবাদ করায় বিডিও সম্মতি দেন মনোনয়ন জমা দিতে। কিন্তু সেগুলো এখন বাতিল হয়ে যাচ্ছে। এখন বাম ও আইএসএফ কর্মীদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা করছে তৃণমূল।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন