রাজ্য রাজনীতিতে তোলপাড় ফেলে দেওয়া সাগরদীঘি বিধানসভা কেন্দ্র আবারও শিরোনামে। বাম কংগ্রেস জোট প্রার্থী হিসেবে তৃণমূল প্রার্থীকে পরাজিত করে জয়ী হবার মাত্র আড়াই মাসের মধ্যে দল বদল করে তৃণমূলে নাম লেখালেন কংগ্রেস বিধায়ক বায়রন বিশ্বাস।
সোমবার ঘাটালে তৃণমূলের নবজোয়ার কর্মসূচি চলাকালীন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত থেকে তৃণমূলের দলীয় পতাকা তুলে নিয়ে দলবদল করেন কংগ্রেস বিধায়ক বায়রন বিশ্বাস।
গত ১৩ মার্চ বিধানসভার স্পীকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, বাইরন বিশ্বাস নাকি নিজে বলেছেন তিনি তৃণমূলেরই একজন। 'নিরপেক্ষ' স্পিকার কীভাবে প্রকাশ্যে এই ধরণের মন্তব্য করতে পারেন তা নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছিল।
এই বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের ২৭ তারিখ অনুষ্ঠিত উপনির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থীকে ২২ হাজার ৯৮০ ভোটে পরাজিত করেন বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী বায়রন। ২১-র বিধানসভা নির্বাচনে দ্বিতীয় স্থানে থাকলেও উপনির্বাচনের ফলাফলে তৃতীয় স্থানে চলে যায় বিজেপি।
উপনির্বাচনে জয়ের পরেই তৃণমূলকে হুঁশিয়ারি দিয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী জানিয়েছিলেন, "তৃণমূলকে বধিবে যে, মুর্শিদাবাদে বাড়িছে সে। মুর্শিদাবাদে কংগ্রেস বাড়ছে, আগামীদিনে তৃণমূলকে আমরাই বধ করবে। এই বাংলায় চোরতন্ত্র উচ্ছেদ করে গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠা করব। বাম-কংগ্রেস ও অন্যান্য আমাদের সমর্থকদের নিয়ে আগামী দিনে এই লক্ষ্য আমরা পূরণ করব।"
এছাড়াও তিনি আরও বলেছিলেন, "মানুষ বাইরনের মধ্য দিয়ে বলতে চেয়েছে পশ্চিমবাংলার তৃণমূল তোমাদেরকে আমরা বর্জন করছি। এই জয়টা আমি মনে করি ছোটো স্ফুলিঙ্গ। এই স্ফুলিঙ্গ আগামীদিনে বাংলায় তৃণমূলের দুর্নীতির অট্টালিকাকে পুড়িয়ে খাক করে দেবে।"
যদিও এদিন বায়রন তৃণমূলে যোগ দেবার পর এখনও পর্যন্ত প্রদেশ সভাপতির কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
উপনির্বাচনে ৪৭.৩৫ শতাংশ ভোট পেয়েছিলেন বায়রন বিশ্বাস। তৃণমূল পেয়েছিল ৩৪.৯৩ শতাংশ ভোট। বিজেপি পেয়েছিল ১৩.৯৪ শতাংশ ভোট। ২০২১-র বিধানসভার নিরিখে ওই নির্বাচনে তৃণমূলের ভোট কমে প্রায় ১৬ শতাংশ। বিজেপিরও ১০ শতাংশের বেশি ভোট কমে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন