আজ দুপুরে ত্রিপুরায় সভা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। রবীন্দ্র ভবনের সামনে ছোট জায়গায় না আস্তাবল ময়দানে- কোথায় হবে, তা নিয়ে রাত পর্যন্ত টালবাহানা চলেছে। সেই সভায় যোগ দেওয়ার জন্য দেড় হাজার কিলোমিটার দূরে ডায়মন্ড হারবার থেকে ১৭টি ভলভো বাসে করে রওনা দিয়েছেন কর্মী-সমর্থকরা। শুক্রবার বিকালে রওনা হওয়া এই বাসটি কোচবিহার, অসম হয়ে ত্রিপুরা পৌঁছবে।
প্রসঙ্গত, ত্রিপুরায় গত তিন বছর ধরে তৃণমূলের কোনও উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়নি। বাংলায় তৃতীয় বারের জন্য ক্ষমতায় আসার পর, আবার ত্রিপুরাতে দেখা মিলছে ঘাসফুল শিবিরের। বিজেপি বিরোধী লড়াই, বিজেপি বিরোধী জনমত গড়তে তৃণমূলের তৎপরতা নিয়ে স্বাভাবিকভাবে ত্রিপুরাবাসীর মনে প্রশ্ন জেগেছে। এত দিন রাজ্য থেকে সংবাদমাধ্যমকে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হত। এখন কর্মী- সমর্থকদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছে !!
অভিষেকের নির্দেশে প্রায় হাজারখানেক তৃণমূল কর্মীর গন্তব্য ত্রিপুরা। সবথেকে বেশি বাস রওনা দিয়েছে ফলতা থেকে। বিপুল খরচে এলাহী আয়োজন। ডায়মন্ড হারবারে বাহুবলি তৃণমূল নেতা জাহাঙ্গীর খানের নেতৃত্বে এসব চলছে। ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ ঘনিষ্ঠ জাহাঙ্গীর সরকারি নিরাপত্তাও পান। অভিযোগ, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে এখানকার কেন্দ্র থেকে বিরোধী প্রার্থীদের মনোনয়ন জমা দিতে দেওয়া হয়নি এঈ জাহাঙ্গীরের নেতৃত্বেই।
শনিবার বেলার দিকে কোচবিহারে ঢোকেন তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা। সকালে দুটি ভাগে ভাগ হয় কবে সর্মথকরা সেখানে পৌঁছন। তাদের জন্যই এলাহী থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। শুধু তাই নয়, কোচবিহার, তুফানগঞ্জ থেকে তৃণমূল কর্মীরা ত্রিপুরার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন। সব মিলিয়ে কর্মীসংখ্যা প্রায় হাজার তিনেক। ডায়মন্ড হারবার থেকে রওনা হওয়া তৃণমূল কর্মীরা বক্তব্য, অভিষেক আমাদের অভিভাবক। তাঁর সভায় যাব না!
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন