শারদ উৎসবের আনন্দের মাঝেও মানুষের হাতে নেই পর্যাপ্ত পরিমাণ অর্থ। কারণ, লুটেরা তৃণমূল মানুষের টাকা শুষে নিয়েছে। চাকরি চুরি থেকে রেশন চুরি, আবাস যোজনার টাকা, একশো দিনের টাকা, তোলাবাজি সহ সব লুটের টাকা মানুষের পকেট থেকে গেছে তৃণমূলের পকেটে। এভাবেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী ও রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলকে ফের এক হাত নিলেন সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম।
বুধবার, রাজ্য সরকারের 'দুয়ারে রেশন' প্রকল্পকে 'অবৈধ' বলে ঘোষণা করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। আদালতের পর্যবেক্ষণে এই প্রকল্প ২০১৩ সালের জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইনের পরিপন্থী।
এই প্রসঙ্গে সাংবাদিক বৈঠকে সেলিম বলেন, শিক্ষার মতই রেশনিং ব্যবস্থা বানচাল করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকার। তারা রেশন ব্যবস্থা তুলে দিতে চাইছে। আমরা, বামপন্থীরা বরাবর সর্বজনীন রেশনের দাবি করে এসেছি। সবার জন্য খাদ্যের অধিকারের কথা বলেছি। কিন্তু দক্ষিণপন্থীরা খাদ্যে ভর্তুকি তুলে দিতে চায়। তাই তারা টার্গেটেড রেশন, সাময়িক সময়ের জন্য রেশন ইত্যাদিতে জোর দিচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, রাজ্যের তৃণমূল সরকার রেশন নিয়ে দুর্নীতি করেছে। আর কেন্দ্রীয় সরকার সেটা দেখেও মুখে কুলুপ এঁটে রয়েছে। মহামারীতে ক্ষুধার্তদের তালিকায় বিশ্বে ভারতের স্থান যখন ক্রমশ খারাপ হয়েছে, তখন সুজলাং সুফলাং বলে কৃষির ব্যাকওয়ার্ড লিঙ্কেজ আদানিদের হাতে আর ফরওয়ার্ড লিঙ্কেজ তথা রেশনকে আম্বানিদের হাতে তুলে দিচ্ছে তৃণমূল ও বিজেপি সরকার।
সম্প্রতি বিভিন্ন পুজো প্যান্ডেল উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে গিয়ে মমতা ব্যানার্জী সিপিআই(এম)-কে লাগাতার কটাক্ষ করেছেন। সেই প্রসঙ্গে সিপিআই(এম) নেতার কথায়, তৃণমূলের দুর্নীতি প্রকাশ্যে আনতে চোর ধরো জেল ভরো স্লোগান তুলে রাস্তায় নেমেছে বামেরা। তাই দেখে মমতা ব্যানার্জী পুজো উদ্বোধনে গিয়ে ইরিং বিরিং মন্ত্র পড়ার নামে সিপিআই(এম)-কে গালি দিচ্ছেন কেন? পুজোর কোন মন্ত্রে এসব কথা লেখা আছে? মানুষের লুটের টাকা কোথায় গেছে, সাহস থাকলে জবাব দিন?
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন