একদিকে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী ছাত্রনেতা আনিস খান হত্যাকান্ড, অন্যদিকে বর্ধমানে কলেজছাত্রী তুহিনা খাতুনের আত্মঘাতী হওয়া- এই দুই ঘটনা নিয়ে আপাতত তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। সোমবার তুহিনার মৃত্যু ইস্যুতে পথে নামল কংগ্রেস। অধীর রঞ্জন চৌধুরির নেতৃত্বে কংগ্রেসের এক প্রতিনিধি দল মৃতার বাড়িতে যায়। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন অধীর। তিনি জানান, কংগ্রেস তাঁদের পাশে আছে। কোনওরকম আইনি সহায়তার প্রয়োজন হলে কংগ্রেসকে তাঁরা পাশে পাবেন।
প্রসঙ্গত, বর্ধমান রাজ কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী তুহিনা খাতুন। পুরভোটের ফল প্রকাশের দিনই বাড়িতে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় তুহিনা খাতুনের (১৯) দেহ। তুহিনার বাড়ি যেখানে, সেই ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের হয়ে ভোটে জেতেন শেখ বসিরুদ্দিন ওরফে বাদশা, যিনি এলাকায় দাগী তোলাবাজ হিসেবে পরিচিত।
তুহিনার পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভোটে জেতার পরই এলাকায় বোমাবাজি শুরু করেন বাদশা, বাড়ি বাড়ি গিয়ে শাসাতে থাকেন। তুহিনার বাড়িতেও যান বাদশা। সেই সময় বাড়িতে তুহিনা ও তাঁর দুই বোন ছাড়া কেউ ছিল না। এর কিছুক্ষণ পরই ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় তুহিনার। জানা গেছে, প্রায় প্রতিদিনই তুহিনা ও তাঁর দুই বোনকে উত্তক্ত করতেন বাদশা। ভোটে জিতলেই ধর্ষণের হুমকি দেওয়া হয়েছিল তুহিনাকে। আতঙ্কে বাড়ি থেকে বেরোনো বন্ধ করে দিয়েছিলেন তিনি।
অভিযোগ, এমন নৃশংস ও অমানবিক ছবি আঁকানোর অভিযোগ ওঠে ওই ওয়ার্ডেরই তৃণমূল প্রার্থী। আগেই অবশ্য পুলিশের কাছে নিরাপত্তার অভাবের কথা জানিয়েছিল ওই পরিবার। এরই মধ্যে মূল অভিযুক্ত বাদশা শেখকেও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এমনটাই জানায় বর্ধমান থানার পুলিশ। আইসি জানান, বাদশাকে ধরতে পারলে জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেফতার করা হবে। অথচ ঘটনার পরদিন বাদশাকে বর্ধমান শহরের কার্জন গেটের কাছে বিধায়কের সঙ্গে কথা বলতে দেখা গিয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ ছিল।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন