চাপের মুখে পড়ে ঘটনার এক সপ্তাহ পর বর্ধমানের মৃত কলেজছাত্রী তুহিনা খাতুনের বাড়ি এলেন পূর্ব বর্ধমানের জেলা পুলিশ সুপার। অন্যদিকে মৃতার বাড়িতে নজরদারি চালানোর জন্য এগারোটি সিসিটিভি ক্যামেরা বসাচ্ছে পুলিশ। উল্লেখ্য, আমতার প্রতিবাদী ছাত্রনেতা আনিস খানের মৃত্যুর পরও তাঁর বাড়ির চারদিকে নজরদারি চালানোর জন্য পুলিশ সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।
তুহিনার দিদি কুহেলি বিবির অভিযোগ, সদ্য তৃণমূল কাউন্সিলর হওয়া বাদশার হুমকি ও অত্যাচারে গত দুমাস ধরে ঘরবন্দি ছিল তুহিনা। তাদের বাড়ির সামনের দেওয়ালে তাঁর তিন বোনের ঝুলন্ত ছবি আঁকা হয়েছিল। সেকথা তারা পুলিশকে জানিয়েছিল। তখন কোনও ক্যামেরা বসানো হয়নি। তখন পুলিশ ব্যবস্থা নিলে তুহিনাকে এত অল্প বয়সে চলে যেতে হত না। এখন বাড়ির সামনে ক্যামেরা বসাচ্ছে পুলিশ।
যদিও পুলিশের সাফাই, তুহিনার পরিবারের সদস্যদের শ্লীলতাহানি, প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে। তাই কারা কারা এখানে আসছে সেদিকে নজর রাখতে এই ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
বাদশাকে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে তুহিনার দিদি আরও জানিয়েছেন, তাঁর বোনকে যেভাবে ধর্ষণের হুমকি দিয়ে লাগাতার অত্যাচার করে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করা হয়েছে, তা হত্যা করারই শামিল। তৃণমূলের পার্টি অফিসেই বসে আছে বাদশা, অথচ পুলিশ তাকে গ্রেফতার করছে বলে না অভিযোগ মৃতার দিদির। যে কোন কিছুর বিনিময় বাদশার শাস্তি চাইছে তুহিনার পরিবার।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন