কয়লা পাচারকাণ্ডে দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করা হলো সিআইএসএফ-র ও ইসিএল-র দুই প্রাক্তন কর্তাকে। তদন্তে অসযোগিতা ও কয়লা পাচারের সাথে যোগ থাকার অভিযোগেই তাঁদেরকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই।
কয়লা পাচারকাণ্ডের তদন্তে সিবিআই-ইডি তৎপরতা চোখে পড়ার মতো। বৃহস্পতিবার, সিবিআই দপ্তরে হাজিরা দিয়েছিলেন ইসিএল (Eastern Coalfield Limited)-র প্রাক্তন কর্তা সুনীল কুমার ঝাঁ এবং সিআইএসএফ (Central Industrial Security Force)-র প্রাক্তন ইন্সপেক্টর আনন্দ কুমার সিংহ। সূত্রের খবর, কয়লা পাচার নিয়ে তাঁদেরকে টানা জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন সিবিআই আধিকারিকরা। কয়লা মাফিয়া অনুপ মাঝি ওরফে লালার কাছ থেকে ঘুষ নিয়েছিলেন কিনা তাও জানতে চায় সিবিআই।
সিবিআই সূত্রে জানা যাচ্ছে, এই দুই আধিকারিকের বিরুদ্ধে অর্থের বিনিময়ে কয়লা পাচারের অভিযোগ রয়েছে। দুই কর্তা কয়লা খনি থেকে অবৈধ কয়লা তোলায় মদত দিতেন বলে অভিযোগ। গ্রেফতার করে তাঁদের আদালতে তুললে আদালত ৪ দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। ওই দুই আধিকারিকের ব্যাঙ্কের নথিও খতিয়ে দেখছেন সিবিআই আধিকারিকরা।
উল্লেখ্য, ১৯৬৯ সালে মাত্র তিনটি ব্যাটেলিয়ন নিয়ে সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্স বা সিআইএসএফ গঠিত হয়। এর মূল লক্ষ্য হলো সংবেদনশীল পাবলিক সেক্টরগুলিতে নিরাপত্তা প্রদান করা। বর্তমানে CISF-র ১,৭১,৬৩৫ জন সদস্য রয়েছে। সিআইএসএফ কেন্দ্রীয় স্বারাষ্ট্রমন্ত্রকের অধীনে কাজ করে। বর্তমানে দেশের ৩৫৩টি সেক্টরে নিরাপত্তা প্রদান করে CISF।
অন্যদিকে, বুধবার দিল্লি হাইকোর্ট নির্দেশ দেয়, কয়লা পাচারকাণ্ডে ইডি মলয় ঘটককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সমন পাঠাবে। এই সমন পাঠাতে হবে হাজিরার ১৫ দিন আগে। মলয় ঘটককে সেই সমন অনুযায়ী দিল্লিতে এসে জিজ্ঞাসাবাদে সহযোগিতা করতে হবে। দিল্লি হাইকোর্টে ইডির আইনজীবী দাবি করেন, একাধিকবার মন্ত্রীকে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্ত নয়'বার হাজিরা এড়িয়েছেন। অন্যান্যরা হাজিরা দিলে মন্ত্রীর হাজিরা দিতে অসুবিধা কোথায়?
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন