রাজ্য বিজেপিকে নিয়ন্ত্রণ করছে দলবদলুরা - এই মর্মে দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডাকে চিঠি দিয়েছেন বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু। তাঁর পত্রবোমায় অস্বস্তিতে বঙ্গ বিজেপি কারণ সায়ন্তন বসুকে সমর্থন করতে শুরু করেছেন রাজ্য বিজেপির আদি নেতা-কর্মীরা।
নাড্ডাকে লেখা চিঠিতে সায়ন্তনের দাবি ছিল - 'অবিলম্বে যেন দলে ২০১৯-র মডেল ফিরিয়ে আনা হয়।' সায়ন্তন বসুর এই দাবি সমর্থন করতে শুরু করেছেন রাজ্য বিজেপির আদি নেতা-কর্মীরা। এই চিঠিকে সমর্থন জানিয়ে শনিবার জে পি নাড্ডাকে মেইল করেছে 'বিজেপি বাঁচাও মঞ্চ'। যার ফলে প্রবীণ-নবীন দ্বন্দ্ব এখন ক্রমশ প্রকট হচ্ছে রাজ্য বিজেপির অন্দরে, আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে যা চিন্তার ভাঁজ ফেলছে বিজেপি নেতাদের কপালে।
বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক অনুপম হাজরা সায়ন্তনের দাবিকে সমর্থন করে বলেন, 'আমি যে পর্যবেক্ষণ পেশ করেছিলাম, সেটা অন্য কেউ বলছে দেখে আমার বেশ ভালই লাগছে।' বিজেপির রাজ্য সহ-সভাপতি রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, সায়ন্তন দা একজন অভিজ্ঞ নেতা। তিনি সবসময় পার্টির ভালো চেয়েছেন। ভালো কাজ করেছেন। নিশ্চয়ই পার্টির ভালোর জন্যই পরামর্শ দিয়েছেন।
একইভাবে সায়ন্তনের বক্তব্যকে সমর্থন করেছেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সহ-সভাপতি রাজকমল পাঠক। তাঁর কথায়, পুরনোদের বাদ দিয়ে বিজেপি চালানো যেতে পারে না। ২০১৯-এ দল যখন সফল হয়েছিল, তখন তার মূল কান্ডারী ছিলেন পুরনো নেতা-কর্মীরা। উনি (সায়ন্তন বসু) ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বক্তব্য জানিয়েছেন। ওনার সেই স্বাধীনতা আছে।
অন্যদিকে, বীরভূম বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি দুধকুমার মণ্ডলের কথায়, 'সায়ন্তন বাবু নিশ্চয়ই দলের ভালো চেয়েছেন। দল নিশ্চয়ই এ বিষয়ে ভাবনা চিন্তা করবে।' নাম না করেই শীর্ষ নেতৃত্বকে কটাক্ষ করে বিজেপি নেতা মনস্পতি দেব বলেন, তৃণমূল থেকে আসা বিভিন্ন নেতা বিজেপির বিভিন্ন পদে বসে আছেন।
তবে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব মারফত জানা গেছে, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে দলের অন্দরে দ্বন্দ্ব মেটাতে অবিলম্বে বিক্ষুব্ধ নেতাদের তালিকা তৈরীর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, তাঁদের সাথে যোগাযোগ করার কথাও বলা হয়েছে। তবে সায়ন্তন বসুর দাবি, শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কেউ তাঁর সাথে যোগাযোগ করেননি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন