এবার প্রতারণার অভিযোগে নাম জড়াল খোদ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর। অভিযুক্তের নাম সদ্য মন্ত্রী হওয়া তথা কোচবিহারের সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক। চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা করার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। পাশাপাশি তাঁরই নির্দেশে নির্বাচনের আগে বোমা রাখা হয়েছিল। এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন গোসানিমারির বাসিন্দা ফিরদৌস ইসলাম। বিজেপি সাংসদের বিরুদ্ধে দিনহাটা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
ফিরদৌসের অভিযোগ, গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে নিশীথের সঙ্গে কাজ করতেন তিনি। তখন তাঁকে সরকারি চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন সাংসদ। বিনিময়ে, প্রথমে এক লক্ষ টাকা এবং পরে ২৫ হাজার টাকা নেন। গবাদি পশু, টোটো ইত্যাদি বিক্রি করে দেন।
অন্যদিকে, স্থানীয় একটি কারখানায় পুলিশ তল্লাশি চালিয়ে বোমা ও বোমা তৈরির সরঞ্জাম পায়। নিশীথ প্রামাণিকই চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে সেসব ফিরদৌসকে সরিয়ে রাখতে বলেছিলেন। প্রতিশ্রুতি পূরণ দূরের কথা। উলটে তাঁর কথা মতো কাজ করে সেই বোমা ফেটেই গুরুতর জখম হন ফিরদৌস। সপ্তাহ খানেক আইসিইউতে কাটাতে হয় তাঁকে।
এদিকে ছেলের চিকিৎসার জন্য নিজের দোকান বিক্রি করে দিয়েছেন ফিরদৌসের বাবা। সরকারি চাকরির স্বপ্ন রাস্তায় বসিয়েছে একটা পরিবারকে। ক্ষোভ উগরে ফিরদৌস বলেন, 'শুধু আমার নয়, এভাবে অনেকের থেকে টাকা আদায় করেছেন নিশীথ প্রামাণিক। তাঁদের হয়তো ফেরত পাওয়ার তাগিদ নেই। কিন্তু আমার চাকরি চাই না। ওই টাকাটা ফেরত পেলে অন্তত টোটো কিনে চালাতে পারব। পেটটা অন্তত চলবে।'
বিজেপির জেলা সভাপতি মালতি রাহার দাবি, এসব তৃণমূলের সাজানো গল্প। অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, 'অভিযোগ যে কেউ করতেই পারে। আমাদের নামেও একাধিক অভিযোগ দায়ের হয়েছে। যদি সত্যতা থাকে আইন তার মত করে ব্যবস্থা নেবে।'
প্রসঙ্গত, এবারের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন নিশীথ। জয়ীও হন। পরে বিধায়ক পদ ছেড়ে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী হন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন