রাজ্য সরকার পরিযায়ী শ্রমিকদের পাশে কতটা আছে, তা নিয়ে লকডাউনের শুরু থেকেই বারবার সোচ্চার হয়েছে বামেরা। উল্টোদিকে বামেরা যে পরিযায়ী শ্রমিকদের পাশে আছে তা এর আগে একাধিকবার প্রমাণ করেছে তারা। উত্তরাখণ্ড বিপর্যয়ে আরো একবার তা প্রমাণ হল। তপোবনে নিখোঁজ পাঁচ পরিযায়ী শ্রমিকের পরিবারের পাশে থাকা, সেখানকার পরিযায়ী শ্রমিকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা, ঠিকাদার সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করে ক্ষতিপূরণের দাবি করা, এসবই করে চলেছে সিটু।
উত্তরাখণ্ডের ধৌলিগঙ্গায় দুর্ঘটনার পর আটদিন কেটে গেলেও সেখানে কাজ করা পশ্চিমবঙ্গের পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে ভাবেনি শাসকদল। তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগও করেনি। এনটিপিসির তপোবন প্রকল্পে যে সংস্থার অধীনে তাঁরা কাজ করতেন তাদের সঙ্গেও যোগাযোগ করেনি। এমনটাই অভিযোগ সিটুর।
ধৌলিগঙ্গায় এনটিপিসির তপোবন প্রকল্পে কাজ করতে যান রাজ্যের ১৫ জনের বেশি পরিযায়ী শ্রমিক। তাঁদের মধ্যে পূর্ব মেদিনীপুরের তিনজন ও পুরুলিয়ার দু'জন নিখোঁজ। তলিয়ে যাওয়া ২১ জন শ্রমিকের মধ্যে সর্বশেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী খোঁজ মিলেছে তিনজনের। যে সংস্থার হয়ে তাঁরা কাজ করছিলেন, সেই সংস্থার ম্যানেজারও পশ্চিমবঙ্গের শ্রমিকদের নিখোঁজ থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। ম্যানেজার জয়বিজয় সরকার জানান, রাজ্য সরকার এখনও তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। সিটুই যোগাযোগ করেছে, বিশদে খবর নিয়েছেন বলে জানান তিনি। সিটু অনুমোদিত 'ওয়েস্টবেঙ্গল মাইগ্রান্টস ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন' নিখোঁজদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন