রাজ্যপালের ডাকা দ্বিতীয় বৈঠকেও গরহাজির আচার্য ও উপাচার্যরা, আবার রাজ্য-রাজ্যপাল দ্বন্দ্ব

সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, ‘‘তিনি দিনের পর দিন এ ভাবে ফাইল ফেলে রাখেন। ... সংবিধান খতিয়ে দেখব, দরকারে আইনজ্ঞদের পরামর্শ নেব।
রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়, শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু
রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়, শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ফাইল চিত্র
Published on

প্রথমবার আমন্ত্রণে সারা দেননি ১১টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ও উপাচার্যরা। বৃহস্পতিবার তাঁদের ফের ডেকেছিলেন। কিন্তু সেই ডাকেও সাড়া দিলেন না তাঁরা। এর জেরে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন ক্ষুব্ধ রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। এই অনুপস্থিতিতে সন্দেহ প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনকে দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির তদন্তের ইঙ্গিতও দিয়েছেন তিনি।

গত সোমবার প্রথমবার বৈঠকে ডেকেছিলেন রাজ্যপাল। সবার অনুপস্থিতির জন্য ফের বৃহস্পতিবার বৈঠক ডাকেন। বিশ্ববিদ্যালয়গুলির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল যে তার কোভিড পরিস্থিতির জন্য বৈঠকে যোগ দিতে পারবেন না। তারা তা জানিয়েও দিয়েছিলেন। কিন্তু রাজ্যপাল জানিয়েছিলেন যে, তিনি তা জানতে পেরেছেন ওইদিনই। তাই ফের বৃহস্পতিবার বৈঠক ডাকেন।

শুক্রবার সকালে রাজভবন থেকে জানানো হয়েছে, একটি বিশ্ববিদ্যালয়েরও আচার্য (Chancellor) বা উপাচার্য আসেননি। বৃহস্পতিবার রাজভবনে বৈঠকের সবরকম প্রস্তুতি ছিল। নির্দিষ্ট সময়ে রাজ্যপাল ও তাঁর সচিব অপেক্ষাও করছিলেন। কিন্তু কোনও বিশ্ববিদ্যালয় কোনও কর্তাকেই দেখা যায়নি রাজভবনে।

২০২০’র জানুয়ারিতে রাজ্যপালের ডাকা বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা। এবার বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্তারাও এলেন না। গত ৮ ডিসেম্বর তিনি নিজে টুইট করে প্রথম বৈঠকের খবর জানিয়েছিলেন।

পদাধিকার বলে রাজ্যপাল রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির ভিজিটর। রাজ্যপালের দায়িত্ব নেওয়ার পর নবান্নের সঙ্গে বিভিন্ন ইস্যুতে তাঁর মতবিরোধ লেগেই থাকে, যা এখনও অব্যাহত।

প্রসঙ্গত, প্রথমবার বৈঠকে না আসায় টুইট করে রাজ্যপাল জানান, এ ভাবে না-আসায় ‘ইউনিয়ন’ করা হচ্ছে, এটাই বোঝা যাচ্ছে। এটা মানা যায় না। রাজভবনের সব অনুষ্ঠানই কোভিড বিধি মেনে হয়। তাই বৈঠকে যোগ না-দেওয়ায় কারণ গ্রহণযোগ্য নয়।'

এ দিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু পাল্টা বলেন, ‘‘তিনি দিনের পর দিন এ ভাবে ফাইল ফেলে রাখেন। ... সংবিধান খতিয়ে দেখব, দরকারে আইনজ্ঞদের পরামর্শ নেব। আমরা আইনজীবীদের কাছে জানতে চাইব, অন্তবর্তিকালীন সময়ের জন্য রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আচার্য পদে আমরা মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে আসতে পারি কি না।’’

রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়, শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু
রাজ্যপালের ডাকা বৈঠকে গরহাজির ১১টি বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য-উপাচার্য, ক্ষুব্ধ রাজ্যপাল

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in