ভরসা নেই পুলিশের উপর, সিবিআই তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টে যাওয়ার কথা জানালেন কৃষ্ণনগরের নির্যাতিতার মা

People's Reporter: মৃতার মা জানিয়েছেন, “নিরপেক্ষ তদন্ত এবং যথোপযুক্ত সাজার জন্য মেয়ের খুনের তদন্ত করুক সিবিআই। সম্ভবত বৃহস্পতিবারই আইনজীবীর মাধ্যমে কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন জানাব।”
কলকাতা হাইকোর্ট
কলকাতা হাইকোর্ট ফাইল ছবি
Published on

ভরসা নেই রাজ্য পুলিশের উপর। এবার সিবিআই তদন্ত চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার কথা জানালেন কৃষ্ণনগরের নির্যাতিতার মা। মৃতার মায়ের অভিযোগ, পুলিশ একাধিক কাগজ না পড়ে সই করার জন্য চাপ দিচ্ছে।

মঙ্গলবার নির্যাতিতার মা সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছেন, “গত কাল সকাল থেকে রাত্রি পর্যন্ত যে ঘটনাপ্রবাহ দেখেছি, তার পরে আর পুলিশের উপরে আস্থা রাখতে পারছি না। পুলিশ এক জনকে গ্রেফতার করেছে। কিন্তু এটা এক জনের কাজ হতে পারে না। বাকিদের ব্যাপারে পুলিশের কোন উৎসাহ নেই কেন?” তাঁর অভিযোগ, পুলিশ একাধিক কাগজে সই করার জন্য চাপ দিয়েছে। এমনকি কাগজ না পড়িয়েই সই করানোর চেষ্টার অভিযোগও তুলেছেন তিনি।

সিবিআই তদন্তের আর্জি জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার কথা জানান মৃতার মা। তিনি জানিয়েছেন, “নিরপেক্ষ তদন্ত এবং যথোপযুক্ত সাজার জন্য মেয়ের খুনের তদন্ত করুক সিবিআই। প্রয়োজনে বাড়ি বিক্রি করে এই লড়াই চালাব।”

উল্লেখ্য, বুধবার সকালে কৃষ্ণনগরে দ্বাদশ শ্রেণির এক মেয়ের দেহ উদ্ধার হয়। স্থানীয়রাই তাঁর দেহ দেখে পুলিশকে খবর দেয়। পরিবারের পক্ষ অভিযোগ তোলা হয়, তাঁকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। অভিযোগ ওঠে, মেয়েটির প্রেমিকের দিকে। তদন্তে নেমে নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে প্রেমিককে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ওই যুবককে মূল অভিযুক্ত হিসাবে ধরে প্রাথমিকভাবে তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

এবিষয়ে, পুলিশ সুপার অমরনাথ কে বলেছিলেন, ‘‘তরুণীর মৃত্যুর নেপথ্যে ধর্ষণ না কি আত্মহত্যা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘পরিবার ইতিমধ্যে অভিযোগ জমা দিয়েছে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চলছে। নির্যাতিতার মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে উপযুক্ত ধারা যুক্ত করে আমরা তদন্ত করছি। তদন্ত চলাকালীন যা তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যাবে, সেগুলি তদন্তে সাক্ষ্য হিসেবে যুক্ত করা হবে।’’

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানিয়েছে, বাইরের হোটেলে কর্মরত ছিক্লেন ওই যুবক। মেয়েটির সঙ্গে বেশ কয়েক মাস ধরে সম্পর্ক ছিল ছেলেটির। ওই ছেলেটির বাড়িতে মাঝে মাঝেই যেতেন মেয়েটি। অন্যদিকে, পরিবারের দাবি মেনে বৃহস্পতিবার কল্যাণীর জওহরলাল নেহরু হাসপাতালে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ‘নির্যাতিতার’ দেহের ময়নাতদন্ত হয়েছে। 

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in