একমাস পার হয়ে গেলেও এখনও খোঁজ মেলেনি ইডি আধিকারিকদের উপর হামলার ঘটনার মাস্টারমাইন্ড সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের। শাহাজাহানকে অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবিতে বৃহস্পতিবার সকালে লাঠি, বাঁশ হাতে রাস্তায় নামলেন সন্দেশখালির মহিলারা। তবে বেলা গড়াতেই মহিলাদের পাশাপাশি গ্রামের পুরুষরাও এই বিক্ষোভে এসে যোগ দেন। তাঁদের দাবি, তৃণমূলের স্থানীয় নেতা শেখ শাহজাহান, ব্লক সভাপতি শিবপ্রসাদ হাজরা এবং তাঁর সঙ্গী উত্তম সর্দারকে গ্রেফতার করতে হবে।
বুধবার বিকেলে শেখ শাহজাহানের 'নিজস্ব বাহিনী'কে তাড়িয়ে দেওয়ার পর অনেকটাই সাহস ফিরে পেয়েছেন সন্দেশখালির বাসিন্দারা। বৃহস্পতিবার সকালে তাই লাঠি, বাঁশ নিয়ে পথে নামেন তাঁরা। কোন দলের কর্মী জিজ্ঞাসা করা হলে তাঁরা জানান, তারাও তৃণমূল করেন। কিন্তু দলের নাম ভাঙ্গিয়ে যেভাবে এতদিন শাহজাহান অত্যাচার চালাচ্ছে তার প্রতিবাদে তারা রাস্তায় নেমেছে আজ।
এদিন শাহজাহান ও শিবপ্রসাদ হাজরার গ্রেফতারির দাবিতে সন্দেশখালি থানা ঘেরাও করেন গ্রামবাসীরা। পুলিশ তাদের ভেতরে ঢুকতে বাধা দিলে, সেখানে বসেই বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন গ্রামবাসীরা। প্রতিবাদী মহিলাদের দাবি, শাহজাহান ও তার অনুগামীরা দিনের পর দিন ধরে সাধারণ মানুষের জমি দখল করেছেন। মানুষের উপর অত্যাচার চালিয়েছেন। বিক্ষোভরত এক মহিলা বলেন, ‘‘শাহজাহানদের গ্রেফতার করতে হবে। না হলে আমরা যাব না।’’
এতদিন পর কেন এই বিক্ষোভ? এর উত্তরে গ্রামের এক মহিলার দাবি, ‘‘ওদের ভয়ে চুপ থাকতে হত। বাইরে থেকে গুন্ডা এনে আমাদের উপর অত্যাচার করে। এখন দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে, তাই রাস্তায় নেমেছি।’’ বিক্ষোভকারী মহিলাদের আরও অভিযোগ, পুলিশের কাছে গেলেও সুরাহা মেলে না। এক মহিলা বলেন, ‘‘পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাতে গেলে পুলিশ শাহজাহানের কাছেই পাঠিয়ে দেয়।’’
বিক্ষোভকারী মহিলাদের দাবি, শিবপ্রসাদ হাজরা ও উত্তম সর্দারের লোকজনেরা গ্রামের মুরগির পোল্ট্রি ভাঙচুর করে তাতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। পরে দোষ দিয়েছে গ্রামবাসীদের নামে। তারই প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সকালে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন এলাকার মহিলারা, ক্রমশ বড় আকার নিয়েছে যা।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন