হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য না করেই আন্দোলন চলবে। আন্দোলনের গতি কমবে না। হাইকোর্টের নির্দেশের পর জানিয়ে দিলেন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা।
তিন পড়ুয়াকে বরখাস্তের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গত শুক্রবার রাত থেকে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বাসভবন ঘেরাও করে আন্দোলন করছেন পড়ুয়াদের একাংশ। পড়ুয়াদের এই আন্দোলনের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন উপাচার্য। সেই মামলায় হাইকোর্ট আজ নির্দেশ দিয়েছে, উপাচার্যের বাসভবনের ৫০ মিটারের মধ্যে কোনো আন্দোলন করা যাবে না। প্রশাসনিক ভবন ও উপাচার্যের বাসভবনের তালা খুলে দিতে হবে। বিশ্বভারতীর কোনো কর্মীকে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশে বাধা দেওয়া যাবে না। উপাচার্যের নিরাপত্তা জন্য তিনজন পুলিশ কর্মী নিয়োগেরও নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
আদালতের এই নির্দেশের পরই উপাচার্যের বাংলোর সামনে থেকে অবস্থান তুলে নিয়েছেন বিক্ষোভরত পড়ুয়ারা। মঞ্চও ভেঙে দিয়েছেন। তবে আন্দোলন বন্ধ হচ্ছে না তাঁদের। উপাচার্যের বাসভবন থেকে ৫০ মিটার দূরে নতুন করে বিক্ষোভ মঞ্চ বেঁধে আন্দোলন শুরু করে দিয়েছেন তাঁরা। তাঁদের স্পষ্ট মন্তব্য, সোমনাথ সৌ, রূপা চক্রবর্তী এবং ফাল্গুনী পানকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে তাঁদের।
ইতিমধ্যেই একাধিক বিশিষ্ট ব্যক্তি ও সংগঠন পড়ুয়াদের এই আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন কবি মন্দাক্রান্তা সেন, বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রায়, বিশ্বভারতীর অধ্যাপক সংগঠন, বোলপুর ব্যবসায়ী সমিতি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন