বিয়ের জন্য সুপাত্র চাই, অথচ 'স্কুল শিক্ষক ব্যতীত'! হ্যাঁ ঠিক এমনটাই দেখা গেল পাত্র -পাত্রীর বিজ্ঞাপনে।
উত্তর দিনাজপুরের এক ৩২ বছরের যুবতী বিয়ের জন্য সরকারি উপযুক্ত পাত্র চেয়ে বিজ্ঞাপন দিয়েছিলেন। কিন্তু অদ্ভুদ ভাবেই সেই বিজ্ঞাপনে উল্লেখ করা আছে 'স্কুল শিক্ষক ব্যতীত'। কেন এই ধরণের কথা তিনি লিখেছেন তা অবশ্য জানা যায়নি। বিজ্ঞাপনটি দ্রুত ভাইরাল হয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ভাইরাল হওয়ার সাথে সাথে নেটিজেনদের মধ্যে শোরগোল শুরু হয়েছে।
সূত্রের খবর, ৩২ বছরের ওই যুবতী পেশায় সরকারি কর্মচারী। কর্মসূত্রে তিনি ধূপগুড়িতে থাকেন। সম্প্রতি, ওই যুবতীর পরিবার বিয়ের জন্য পাত্র দেখতে শুরু করায় এই বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছিল বলেই জানা গেছে। কিন্তু বিজ্ঞাপনে এমন বয়ান দেখে কার্যত অবাক অনেকেই। বিজ্ঞাপনটি ভাইরাল হতেই ফের নেটিজেনদের মধ্যে রাজ্য জুড়ে ঘটে চলা একের পর এক স্কুল শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির ঘটনা আলোচিত হচ্ছে।
নেটিজেনদের অনেকেই এই বিজ্ঞাপন নিয়ে মজা করেছেন। তাদের মধ্যেই কেউ কেউ লিখেছেন, "স্কুল শিক্ষকদের ক্রেজ বিয়েতে কমতে শুরু করেছে।" অন্য একজন লিখেছেন, "এখন এসএসসি দুর্নীতি স্কুল শিক্ষক দের মান-সম্মান মাটিতে মিশিয়ে দিয়েছে"। আবার একজন লিখেছেন, "দেখেও ভালো লাগছে, কাল যে শিক্ষকরা মোস্ট এলিজিবল বলে বিবেচিত হত এখন তাঁদের সুপাত্রের তালিকায় রাখছেন না পাত্রীরা। একেই বোধহয় বলে খেলা ঘুরে যাওয়া।"
প্রসঙ্গত, স্কুল শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে বহুবার তোলপাড় হয়েছে রাজ্য-রাজনীতি। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে ইতিমধ্যেই প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে ২৬৯ জনকে। এর পাশাপাশি বিচারপতির নির্দেশে চাকরি থেকে বরখাস্ত হয়েছেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারী। এই সকল ঘটনার জেরেই কি তবে ব্যক্তিগত জীবনেও স্কুল শিক্ষকদের ভূমিকা প্রশ্নের মুখে?
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন