বসিরহাটের তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে নিখোঁজ পোস্টার, সৌজন্যে - ‘তৃণমূল কংগ্রেসের সম্মান রক্ষা কমিটি’

People's Reporter: পোস্টারে রফিকুল ইসলামের একটি ছবি দিয়ে লেখা হয়েছে, “এই ব্যক্তির নাম রফিকুল ইসলাম। পেশায় বসিরহাট উত্তরের বিধায়ক। বিধানসভা ভোটের পর থেকে এঁকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।”
বসিরহাট উত্তরের তৃণমূল বিধায়ক রফিকুল ইসলাম মণ্ডল
বসিরহাট উত্তরের তৃণমূল বিধায়ক রফিকুল ইসলাম মণ্ডল নিজস্ব চিত্র
Published on

উত্তর ২৪ পরগণার বসিরহাট উত্তরের তৃণমূল বিধায়ক রফিকুল ইসলাম মন্ডলের নামে 'সন্ধান চাই' বলে পোস্টার পড়লো। তাৎপর্যপূর্ণভাবে ওই পোস্টারের নীচে লেখা রয়েছে, ‘তৃণমূল কংগ্রেসের সম্মান রক্ষা কমিটি’। পাশে দেওয়া রয়েছে একটি ফোন নম্বরও। যদিও সেই নম্বরের কোনও অস্বিত্ব নেই বলেই জানা গেছে। এই ঘটনা নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মহাকুমা এলাকায়।

বিধায়ক রফিকুল ইসলামের বাড়ি বসিরহাট উত্তরের মুরারিশায়। তার বাড়ির পাশে চৌমাথা এলাকাতে এই পোস্টার দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বিধায়কের অফিস এবং তাঁর বাড়ির আশপাশেও পোস্টার দেখা গিয়েছে। পোস্টারে রফিকুল ইসলামের একটি ছবি দিয়ে লেখা হয়েছে, “এই ব্যক্তির নাম রফিকুল ইসলাম। পেশায় বসিরহাট উত্তরের বিধায়ক। আগে বিধানসভায় যেতেন লাল পোশাকে, পরবর্তীতে সবুজ পোশাকে। বিধানসভা ভোটের পর থেকে এঁকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।” এমনকি বিধায়কের পরিবারের কাছ থেকেও তাঁর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না বলে লেখা হয়েছে পোস্টারে।

এই ঘটনার প্রেক্ষিতে এক সংবাদমাধ্যমে রফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেস সম্মান রক্ষা কমিটি’ রয়েছে বলে তাঁর জানা নেই। তিনি জানিয়েছেন, এই পোস্টার কোন দল থেকে পড়েছে সেটা তিনি জানেন না। কিন্তু এঁরা কেউই তাঁর দলের সদস্য নয় বলেই জানিয়েছেন তিনি। বিধায়ক আরও জানিয়েছেন, মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা আছে বলেই ওই এলাকার দু’বারের বিধায়ক তিনি। এই পোস্টার বিতর্ককে একাংশের ‘ষড়যন্ত্র’ বলেই মনে করছেন বিধায়ক। কোনও দলের নাম না করে রফিকুল বলেন, কিছু স্বার্থান্বেষী লুটপাট করে খান। তাঁরা নিন্দা করতেই পারেন। তাঁদের নিন্দায় সাধারণ মানুষ টলবেন না।

উল্লেখ্য, এর আগে সিপিআইএমে ছিলেন রফিকুল ইসলাম। ২০১৬ সালে বসিরহাট উত্তর থেকে সিপিআইএমের প্রতীকে বিধায়কও হন তিনি। তারপর যোগ দেন তৃণমূলে। ২০২১ সালে তৃণমূলের টিকিটে ফের বিধায়ক হন। স্থানীয় সূত্রে খবর, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের সময় দলের বেশ কিছু প্রচার কর্মসূচিতে দেখা গিয়েছিল বিধায়ককে। তবে ২০২১ সালে বিধায়ক হওয়ার পর থেকেই এলাকার কর্মসূচিতে তাঁর দেখা মেলে না বলে অভিযোগ রয়েছে।

মুরারিশা এলাকাটি হাসনাবাদ ব্লকের মধ্যে পড়ে। তৃণমূলের হাসনাবাদ ব্লক সভাপতি এস্কেন্দার গাজি পোস্টারের দায় সিপিআইএমের দিকেই ঠেলে দিয়েছেন। এস্কেন্দার বলেন, “এটি বিরোধীদের চক্রান্ত। রফিকুল আগে সিপিএমের সঙ্গে ছিলেন। তাই সিপিএমের পক্ষ থেকে এই পোস্টার সাঁটানো হয়েছে বলেই আমরা মনে করছি।”

বসিরহাট উত্তরের তৃণমূল বিধায়ক রফিকুল ইসলাম মণ্ডল
TMC: মিনাখাঁর তৃণমূল বিধায়ককে মারধরের অভিযোগ দলেরই নেতার বিরুদ্ধে, গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে উত্তপ্ত হাড়োয়া

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in